- Class 6 Bengali
- Class 6 English
- Class 6 Geography
- Class 6 History
- Class 6 Science
- Class 6 Mathematics
- Class 7 Bengali
- Class 7 English
- Class 7 Geography
- Class 7 History
- Class 7 Science
- Class 7 Mathematics
- Class 7 Health and Physical Education
- Class 8 Bengali
- Class 8 English
- Class 8 Geography
- Class 8 History
- Class 8 Science
- Class 8 Mathematics
- Class 9 Bengali
- Class 9 English
- Class 9 Geography
- Class 9 History
- Class 9 Life Science
- Class 9 Physical Science
- Class 9 Mathematics
- Madhyamik Bengali
- Madhyamik English
- Madhyamik Geography
- Madhyamik History
- Madhyamik Life Science
- Madhyamik Mathematics
- Madhyamik Physical Science
- Class 11 Bengali
- Class 11 English
- Class 11 Geography
- Class 11 History
- Class 11 Political Science
- Class 11 Education
- HS Chemistry
- HS Computer Science
- HS Education
- HS Geography
- HS Mathematics
- HS Philosophy
- HS Political Science
- HS Sanskrit
- Geotectonics
- Geomorphology
- Biogeography
- Climatology
- Geographical Thought
- Geography of West Bengal
- Geography of India
- Animal Facts
- Company Facts
- World Facts
- Govt Schemes
- Current Affairs
- Copyright Policy
- Privacy Policy
- Terms and Conditions
- Android App Download
এ.পি.জে. আবদুল কালাম এর জীবনী – A.P.J. Abdul Kalam Biography in Bengali
এ.পি.জে. আবদুল কালাম এর জীবনী
A.p.j. abdul kalam biography in bengali.
এ.পি.জে. আবদুল কালাম এর জীবনী – A.P.J. Abdul Kalam Biography in Bengali : মিশাইল ম্যান অগ্নিপুরুষ এ.পি.জে. আবদুল কালাম (A.P.J. Abdul Kalam) । ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এ.পি.জে. আবদুল কালামকে মিশাইলম্যান বলা হয়ে থাকে । ২০০২ সালে কালাম তৎকালীন শাসকদল ভারতীয় জনতা পার্টি ও বিরোধী দল ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সমর্থনে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। পাঁচ বছর এই পদে আসীন থাকার পর এ.পি.জে. আবদুল কালাম (A.P.J. Abdul Kalam) শিক্ষাবিদ, লেখক ও জনসেবকের সাধারণ জীবন বেছে নেন। ভারতের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান ভারতরত্নসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সম্মান ও পুরস্কার পেয়েছিলেন এ.পি.জে. আবদুল কালাম (A.P.J. Abdul Kalam) ।
মিশাইল ম্যান এ.পি.জে. আবদুল কালাম এর একটি সংক্ষিপ্ত জীবনী । এ.পি.জে. আবদুল কালাম এর জীবনী – A.P.J. Abdul Kalam Biography in Bengali বা এ.পি.জে. আবদুল কালাম এর আত্মজীবনী বা (A.P.J. Abdul Kalam Jivani Bangla. A short biography of A.P.J. Abdul Kalam. A.P.J. Abdul Kalam Birth, Place, Life Story, Life History, Biography in Bengali) এ.পি.জে. আবদুল কালাম এর জীবন রচনা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
এ.পি.জে. আবদুল কালাম কে ছিলেন ? Who is A.P.J. Abdul Kalam ?
এ.পি.জে. আবদুল কালাম (A.P.J. Abdul Kalam) ছিলেন ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের একাদশ রাষ্ট্রপতি (২০০২ – ২০০৭)। কালাম তার কর্মজীবন শুরু করেছিলেন একজন বিজ্ঞানী হিসেবে। পরে এ.পি.জে. আবদুল কালাম (A.P.J. Abdul Kalam) ঘটনাচক্রে গণপ্রজাতন্ত্রী ধর্মনিরপেক্ষ ভারতের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। কালামের জন্ম বর্তমান ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের রামেশ্বরমে। এ.পি.জে. আবদুল কালাম (A.P.J. Abdul Kalam) পদার্থবিদ্যা বিষয়ে সেন্ট জোসেফ’স কলেজ থেকে এবং বিমান প্রযুক্তিবিদ্যা (এরোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং) বিষয় নিয়ে মাদ্রাজ ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি (এম আই টি) থেকে পড়াশোনা করেছিলেন। এরপর চল্লিশ বছর এ.পি.জে. আবদুল কালাম (A.P.J. Abdul Kalam) প্রধানত রক্ষা অনুসন্ধান ও বিকাশ সংগঠন (ডিআরডিও) ও ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থায় (ইসরো) বিজ্ঞানী ও বিজ্ঞান প্রশাসক হিসেবে কাজ করেন।
মিশাইল ম্যান এ.পি.জে. আবদুল কালাম এর জীবনী – A.P.J. Abdul Kalam Biography in Bengali :
এ.পি.জে. আবদুল কালাম এর জন্ম – a.p.j. abdul kalam birthday :.
১৯৩১ সালের ১৫ অক্টোবর তামিলনাড়ুর রামানাথপুরম জেলায় রামেশ্বরম দ্বীপসাগরের এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন এ.পি.জে. আবদুল কালাম (A.P.J. Abdul Kalam) ।
এ.পি.জে. আবদুল কালাম এর পিতা – A.P.J. Abdul Kalam Father :
পিতা জয়নুল আবেদিন ছিলেন পেশায় মৎসজীবি । খুব বেশী শিক্ষিত মানুষ ছিলেন না তিনি । তবে মনের দিক থেকে তিনি ছিলেন খুবই বড়োমাপের । ছোটবেলা থেকে পুত্র আবদুলের মনে কয়েকটি বৈশিষ্ট্য ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছিলেন । বারবার তিনি গল্পছলে আবদুলকে বলতেন পরবর্তী কালে তুমি যেন মানুষের মতো মানুষ হয়ে উঠতে পারে ।
এ.পি.জে. আবদুল কালাম এর পরিবার – A.P.J. Abdul Kalam Family :
এ.পি.জে. আবদুল কালাম (A.P.J. Abdul Kalam) ছিলেন তিন ভাই আর একবোনের সংসার । জালালউদ্দিন আর সামসুদ্দিনের সঙ্গে আবদুলের ছোটোবেলার দিনগুলি কেটে গিয়েছিল । পরবর্তীকালে আবদুল স্বীকার করেছেন , বেড়ে ওঠার এই ব্যস্ত প্রহরে দু – ভাইয়ের সান্নিধ্য এ.পি.জে. আবদুল কালামকে (A.P.J. Abdul Kalam) নানাভাবে উপকৃত করেছিল । তিন ভাই ছিলেন পিতার আদর্শে গড়া সততার প্রতিমূর্তি।
এ.পি.জে. আবদুল কালাম এর মাতা – A.P.J. Abdul Kalam Mother :
মা আসিয়ানা সকাল থেকে সন্ধ্যা অব্দি সংসারের কাজে ব্যস্ত থাকতেন । শত দুঃখকষ্ট জ্বালা যন্ত্রনাকে সহ্য করার মতো সহিষ্ণুতা লুকিয়ে ছিল তার অন্তরে ।
এ.পি.জে. আবদুল কালাম এর শৈশবকাল – A.P.J. Abdul Kalam Childhood :
মায়ের পরিবারের পূর্বপুরুষরা ব্রিটিশ প্রদত্ত বাহাদুর উপাধিতে ভূষিত হয়েছিলেন । মা কিন্তু তার এই ভাগ্য বিপর্যয়কে হাসিমুখে মেনে নিয়েছিলেন । তিনটি পুত্র এবং একটি কন্যা সন্তানকে কীভাবে মানুষের মত মানুষ করে বড়ো করা যেতে পারে , তাই ছিল তাঁর ইহজীবনের স্বপ্ন । ছোটবেলার খেলার সাথীদের কথাও মনে পড়ে যায় আবদুলের । মেলামেশা করতেন রামনাথ শাস্ত্রী , অরবিন্দন আর শিব প্রকাশনের সঙ্গে , তাঁরা সকলেই ছিলেন সনাতনপন্থী হিন্দু পরিবারের সন্তান । আর আবদুল গোড়া মুসলমান । কিন্তু শৈশবে তাদের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতার ভেদ রেখা ছিল না । তখন তাঁরা সকলেই একসঙ্গে মেলামেশা করতেন ।
ভারী সুন্দর ছিল শৈশবের এই অকলঙ্ক দিনগুলি । পৃথিবীর কোনো সমস্যার বোঝা তখন আমাদের মাথার ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়নি । স্মৃতিচারণের মাধ্যমে বারবার এই হারিয়ে যাওয়া রঙিন দিনগুলির কথা শুনিয়েছেন এ.পি.জে. আবদুল কালাম । তখন সারা বছরের সবচেয়ে বড়ো উৎসব ছিল শ্রী সীতারাম কল্যানম্ উৎসব । গোটা পরিবার এই উৎসবে অংশ নিত । রাম সীতার মূর্তি মন্দির থেকে নৌকায় করে তুলে বিবাহমন্ডপে নিয়ে যাওয়া হত । আবার উৎসব শেষ হলে দুটি মূর্তিকে ফেরত নিয়ে যাওয়া হত মন্দিরে ।
কাছেই একটি পুকুর ছিল রামতীর্থ । সেখানে এই দুটি মূর্তিকে শ্রদ্ধাসহকারে অবগাহন করানো হত । ভাবতে অবাক লাগে , আজ থেকে কত বছর আগে গোড়া মুসলমান পরিবারের সন্তান হওয়া সত্ত্বেও আবদুল পরম আগ্রহে ওই বাৎসরিক উৎসবে যোগ দিতেন ।
এ.পি.জে. আবদুল কালাম এর শিক্ষাজীবন – A.P.J. Abdul Kalam Education Life :
দিন কাটতে থাকে এবার কালামকে বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করতে হবে । পিতা ছিলেন বিদ্যানুরাগী , সংস্কৃত সাহিত্যের গল্পকথা আবদুলকে শোনাতেন । মা ঠাকুরমার মুখ থেকে আবদুল রামায়ণ এবং মহাভারতের অনেক কাহিনীও শুনেছিলেন । এই ভাবে তাঁর হৃদয়ে সংস্কৃতির পরম্পরা প্রবাহিত হয়েছিল । তিনি ভর্তি হলেন রামেশ্বরম এলিমেন্টরি স্কুলে । পাশাপাশি বেঞ্চে বসে ক্লাস করেন নিষ্ঠাবান ব্রাহ্মণ পুত্রের সঙ্গে । টিফিনে একই খাবার ভাগ করে খান । এখানে কোথায় যেন একটা অঘটন ঘটে গেল । কালাম তখন পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র । মাথায় টুপি পরতেন । এই টুপি দেখে বোঝা যেত এ.পি.জে. আবদুল কালাম (A.P.J. Abdul Kalam) মুসলমান পরিবারের সন্তান । ক্লাসে সবসময় প্রথম বেঞ্চে বসতেন । একদিন কঠিন কঠোর নীতিবাগীশ শিক্ষকমশাই আবদুলকে প্রথম বেঞ্চ থেকে সরিয়ে দিলেন । আবদুল এই অপমান অনেক দিন মেনে নিতে পারেননি । অবশ্য পরবর্তীকালে ওই মাস্টারমশাই তাঁর ভুল বুঝতে পেরেছিলেন । তিনি আবদুলকে আবার প্রথম বেঞ্চে ডেকে নেন ।
রামেশ্বরমে তখন ছোটো ছোটো সামাজিক গোষ্ঠীর অস্তিত্ব ছিল । এক গোষ্ঠীর সদস্যের সঙ্গে অন্য গোষ্ঠীর সদস্যের ক্ষমতার লড়াই চলত । এই ভেদনীতির বিরুদ্ধে বিদ্রোহের ধ্বজা তুলে ধরতে চেয়েছিলেন বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান শিক্ষক শিব সুব্রহ্মনিয়াম আয়ার । আয়ার ছিলেন আবদুলের অত্যন্ত প্রিয় শিক্ষক ।
কালাম বড়ো হলেন । গ্রামের সংস্কৃতির মধ্যে বেড়ে উঠলেন । খেতে ভালোবাসতেন মাদ্রাজি খাবার , কলা , ভাত আর সম্বর । লঙ্কার সঙ্গে চাটনি । আবদুলের বাড়ি থেকে রামেশ্বরমের বিখ্যাত শিবমন্দিরটির দূরত্ব খুবই কম । সেই মন্দিরে মাঝে মাঝে যেতেন এ.পি.জে. আবদুল কালাম (A.P.J. Abdul Kalam) ।
চোখ বন্ধ করলে ছোটোবেলার খন্ড খন্ড ছবি ভেসে ওঠে । রামেশ্বরম মন্দিরের প্রধান পুরোহিত পক্ষিলছমন শাস্ত্রীর সঙ্গে পিতার আধ্যাত্মিক আলোচনা বুঝি এখনো শুনতে পান এ.পি.জে. আবদুল কালাম (A.P.J. Abdul Kalam) । মুসলমান পিতা এবং হিন্দু পুরোহিত দুধরনের পোশাক পরে একই বিষয় নিয়ে ভাববিনিময় করছেন ।
একটু বড়ো হয়ে আবদুল বাবার কাছে জানতে চেয়েছিলেন বাবা , প্রার্থনার কি কোনো আলাদা অর্থ আছে ?
বাবা বলেছিলেন শোনো আবদুল , প্রার্থনার একটা আলাদা মূল্য আছে । প্রত্যেক মানুষের মধ্যে আত্মা আছে । প্রার্থনার দ্বারা আত্মার সাথে দেহের যোগসূত্র স্থাপিত হয় ।
পরবর্তীকালে কালাম জানিয়েছেন আমার বাবার আধ্যাত্মিক চিন্তা ছিল সহজ সরল গ্রাম্য প্রকৃতির । তিনি বলতেন , এ পৃথিবীর সকলেই ঐশ্বরিক অস্তিত্বের অঙ্গ । সকলের মধ্যে স্বয়ং আল্লাহ বসবাস করছেন ।
এবার কালাম এলেন বৃহত্তর শিক্ষাঅঙ্গনে । ভর্তি হলেন স্টুওয়াজ হাইস্কুলে । ছোটোবেলার সঙ্গী সাথীদের সাথে আর তার দেখা হতো না । কিশোর কালাম উপলব্ধি করলেন সেই শাশ্বত সত্য জীবনে চলার পথে এভাবেই আমরা একলা পথিক হয়ে যাই । এই হাইস্কুলের অনেকের কথাই মনে পড়ে । ওখানকার শিক্ষক ইয়াদুরাই সলোমনকে তিনি কখনো ভুলতে পারবেন না । তাকে দেখে কিশোর কালামের মনে হত , তিনি বোধহয় বৈদিক যুগের এক ব্রহ্মচারী । ছাত্রের জীবন অন্বেষণার কাজে নিজেকে উৎসর্গ করেছেন ।
সলোমন কালামকে কর্মযোগী পুরুষে পরিণত করেছিলেন । এই শিক্ষক কালামকে তিনটি মূল মন্ত্র শিখিয়েছিলেন । জীবনে সফল হতে গেলে তিনটি গুণের অধিকারী হতে হবে ইচ্ছা , বিশ্বাস এবং আশাবাদ । ইচ্ছা হল স্বপ্নের প্রথম প্রহর । যদি মনের মধ্যে ইচ্ছার বীজ তপ্ত না হয় তাহলে আমরা সফলতার গাছ কখনো দেখতে পাব না । দ্বিতীয় প্রহর হল বিশ্বাস । নিজের কর্তব্যবোধের ওপর অবিচল আস্থা থাকতে হবে । ঈশ্বরের ওপর বিশ্বাস এবং নির্ভরতা রাখতে হবে।
সর্বশেষ প্রহরে আশাবাদ জেগে ওঠে । আশাবাদ না থাকলে অরণ্যচারী মানুষ আজ মহাকাশ বিজয়ী হতে পারতনা ।
পরবর্তীকালে সলোমন রেভারেন্ড হয়েছিলেন । তিনি কালামকে বলেছিলেন , কোনো কাজ সার্থকভাবে পূর্ণ করার আগে তোমাকে সেই কাজটির জন্য বাসনা তৈরী করতে হবে । মনে মনে বারবার বলতে হবে , এই কাজটি আমার দ্বারাই হবে । এই কাজটি সম্পন্ন করার জন্য আমি এই পৃথিবীর বুকে জন্মগ্রহণ করেছি ।
শিক্ষকের আর একটি কথা কালামকে উদ্দীপ্ত করত । পড়াতে পড়াতে তিনি প্রায়শই বলতেন , বিশ্বাসের জোরে তুমি ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাতে পারবে ।
পরবর্তীকালে কালাম এই ব্যাপারটি নিজের জীবনে সত্যি বলে প্রমাণ করেছিলেন । সাধারণ পরিবারের সন্তান হয়েও তিনি জগৎ সভায় ভারতের মুখ উজ্জ্বল করেছেন ।
এ.পি.জে. আবদুল কালাম এর কলেজ জীবন – A.P.J. Abdul Kalam College Life :
এ.পি.জে. আবদুল কালাম (A.P.J. Abdul Kalam) ছোটোবেলা থেকেই ছিলেন বিজ্ঞানের এক অসাধারণ প্রভাবশালী ছাত্র । স্কুলের পরীক্ষাতে বরাবর কৃতিত্বের সাথে পাশ করেছেন । তার কর্মজীবনটিও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ১৯৫০ সালে সেন্ট জোসেফ কলেজে ভর্তি হলেন কালাম , ইন্টারমিডিয়েট কোর্সে । সেন্ট জোসেফ কলেজ থেকে পদার্থবিদ্যা নিয়ে স্নাতক হওয়ার পর ম্যাড্রাস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে ভর্তি হন এরোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার জন্য ।
এ.পি.জে. আবদুল কালাম এর কর্মজীবন – A.P.J. Abdul Kalam Work Life :
১৯৬০ – এ বিজ্ঞানী হিসেবে যোগ দেন ভারতের ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনে ( ডি আর ডি ও ) । কেরিয়ার শুরু হয়েছিল ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছোট মাপের একটি হেলিকপ্টারের নকশা করার মধ্য দিয়ে । কিন্তু দ্রুতই উত্থান ঘটে তার । ভারতের মহাকাশ গবেষণার সংস্থা ইসরো – র সঙ্গে যুক্ত হন তিনি । দেশীয় প্রযুক্তিতে উন্নত সামরিক মিসাইল তৈরির প্রকল্পে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন । মহাকাশযান ও স্যাটেলাইট বহনকারী পি এস এল ভি এবং এস এল ভি থ্রি রকেট তৈরিতে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য ভারতের ‘ মিসাইল ম্যান ‘ বলা হয় তাঁকে । পরমাণু শক্তিধর দেশগুলির সঙ্গে একই সারিতে ভারতকে তুলে আনার জন্য তাঁর অবদান অনস্বীকার্য । ১৯৯৮ সালে পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা সংক্রান্ত ‘ পোখরান – টু ’ প্রকল্পের চিফ প্রজেক্ট কোঅর্ডিনেটর ছিলেন তিনি ।
দেশের প্রথম সারির বিজ্ঞানী হিসাবে তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন । রাজনীতির অঙ্গনে প্রবেশ করা । রাষ্ট্রপতির পদে দাঁড়ানো এবং সেই পদে নির্বাচিত হওয়া । রাষ্ট্রপতি হিসাবে বিভিন্ন বিতর্কমূলক কাজে জড়িয়ে পড়া । নিজেকে রাজনৈতিক দলাদলির উর্দ্ধে রাখা , এমন অনেক আদর্শ স্থানীয় কাজ করে আজ কালাম আমাদের কাছে এক মহান মানুষে পরিণত হয়েছেন । আজও মাঝে মাঝে তিনি বিভিন্ন জায়গাতে ভাষণ দিতে যান । যেখানেই যান , সেখানেই তাঁর শিক্ষকসুলভ দার্শনিকতা প্রস্ফুটিত হয়ে ওঠে ।
সব অর্থে কালামকে আমরা এক ভারতীয় ঋষির সঙ্গে তুলনা করতে পারি । জীবনে তিনি দ্বার পরিগ্রহ করেননি । আজীবন ব্রহ্মচারী তাপসের মতো জীবন কাটিয়েছেন । তাই তাঁর প্রতি আমরা আমাদের অস্তরের সশ্রদ্ধ প্রণিপাত নিবেদন করি । ভারতীয় সংস্কৃতির ইতিহাসে এ.পি.জে. আবদুল কালামকে এক উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব হিসাবে আমরা অবশ্যই চিহ্নিত করব ।
এ.পি.জে. আবদুল কালাম এর আত্মজীবনী – A.P.J. Abdul Kalam Autobiography :
১৯৯০ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর আত্মজীবনী— “ উইঙ্গস অফ ফায়ার ” । এই গ্রন্থের পাতায় পাতায় বিধৃত আছে মানব কল্যাণে উৎসর্গীকৃত প্রাণ এই মহান বিজ্ঞানীর অন্তরের ইচ্ছা ।
[ আরও দেখুন , জগদীশ চন্দ্র বসুর জীবনী – Jagdish Chandra Bose Biography in Bengali ]
এ.পি.জে. আবদুল কালাম এর উল্লেখযোগ্য অবদান :
উড়ান ও স্যাটেলাইট বহনকারী পি এস ভি এবং এস এল ভি থ্রি রকেট তৈরিতে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য ভারতের ‘ মিসাইল ম্যান ‘ বলা হয় । পরমানু শক্তিধর দেশগুলির সঙ্গে একই সারিতে ভারতকে তুলে আনার জন্য এ.পি.জে. আবদুল কালাম (A.P.J. Abdul Kalam) এর অবদান অনস্বীকার্য । ১৯৯৮ সালে পরমানু অস্ত্র পরীক্ষা সংক্রান্ত ‘ পোখরান – টু ’ প্রকল্পের চিফ প্রজেক্ট কো – অর্ডিনেটর ছিলেন তিনি ।
এ.পি.জে. আবদুল কালাম ভারতের ১১ তম রাষ্ট্রপতি – A.P.J. Abdul Kalam India’s 11th President :
২০০২ সালে ভারতের একাদশতম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন এ.পি.জে. আবদুল কালাম (A.P.J. Abdul Kalam) । ২০০২-২০০৭ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি ছিলেন এ.পি.জে. আবদুল কালাম (A.P.J. Abdul Kalam) । পরে এ.পি.জে. আবদুল কালাম (A.P.J. Abdul Kalam) শিলং আই আই এম – এ ভিজিটিং প্রফেসর হন ।
[ আরও দেখুন , প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের জীবনী – Prafulla Chandra Ray Biography in Bengali ]
এ.পি.জে. আবদুল কালাম এর সন্মান গুলি – A.P.J. Abdul Kalam Prizes :
এক নজরে সম্মান : পদ্মভূষণ ( ১৯৮১ ) পদ্মবিভূষণ ( ১৯৯০ ) ইনস্টিটিউট অব ডিরেক্টর্স ( ইন্ডিয়া ) -র ডিশটিংগুইশড ফেলো ( ১৯৯৪ ) ভারতরত্ন ( ১৯৯৭ ) ইন্দিরা গান্ধী পুরস্কার ( ১৯৯৭ ) বীর সাভারকর পুরস্কার ( ১৯৯৮ ) রামানুজন পুরস্কার ( ২০০০ ) ইংল্যান্ডের উলভারহ্যাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্মানিক ডক্টরেট ( ২০০৭ ) কিং চার্লস টু মেডেল ( ২০০৭ ) আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্মানিক ডক্টরেট ( ২০০৮ ) সিঙ্গাপুরের নান্যাঙ্গ টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্মানিক ডক্টরেট ( ২০০৮ ) ক্যালিফোর্নিয়া ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজির ইন্টারন্যাশনাল ভোন কর্মণ উইংস অ্যাওয়ার্ড ( ২০০৯ ) হুভার মেডেল ( ২০০৯ ) আমেরিকার ওকল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্মানিক ডক্টরেট ( ২০০৯ ) কানাডার ওয়াটারলু বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্মানিক ডক্টরেট ( ২০১০ ) ইনস্টিটিউট অব ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার্সের সাম্মানিক সদস্যপদ ( ২০১১ ) কানাডার সাইমন ফ্রেজার বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্মানিক ডক্টরেট ( ২০১২ ) ইংল্যান্ডের এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্মানিক ডক্টরেট ( ২০১৪ ) ।
এ.পি.জে. আবদুল কালাম এর মৃত্যু – A.P.J. Abdul Kalam Death :
২৭ শে জুলাই ২০১৫ ভারতের পরমানু গবেষনার পথিকৃৎ তথা দেশের ‘ মিসাইল ম্যান ‘ , ভারতের একাদশতম প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এ পি জে ( আবুল পকির জয়েনুল আবদিন ) এ.পি.জে. আবদুল কালামের ( ৮৪ ) জীবনাবসান হয় ।
২৭ জুলাই ২০১৫ সন্ধে সাড়ে ছটায় শিলংয়ের আই আইএমের এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় মঞ্চের ওপরেই পড়ে যান । এ.পি.জে. আবদুল কালামকে (A.P.J. Abdul Kalam) স্থানীয় বেথানি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় । সেখানেই তার মৃত্যু হয়েছিল ।
এ.পি.জে. আবদুল কালাম এর জীবনী – A.P.J. Abdul Kalam Biography in Bengali FAQ :
- এ.পি.জে. আবদুল কালাম কে ছিলেন ?
Ans: এ.পি.জে. আবদুল কালাম ছিলেন ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের একাদশ রাষ্ট্রপতি ।
- এ.পি.জে. আবদুল কালাম এর জন্ম কবে হয় ?
Ans: এ.পি.জে. আবদুল কালাম এর জন্ম হয় ১৫ অক্টোবর ১৯৩১ সালে ।
- এ.পি.জে. আবদুল কালাম এর পিতার নাম কী?
Ans: এ.পি.জে. আবদুল কালাম এর পিতার নাম জয়নুল আবেদিন ।
- এ.পি.জে. আবদুল কালাম এর মাতার নাম কী ?
Ans: এ.পি.জে. আবদুল কালাম এর মাতার নাম অশিয়াম্মা ।
- এ.পি.জে. আবদুল কালাম কবে ভারতের রাষ্ট্রপতি হোন ?
Ans: এ.পি.জে. আবদুল কালাম ২০০২ সালে ভারতের রাষ্ট্রপতি হোন ।
- এ.পি.জে. আবদুল কালাম কবে পদ্মভূষণ পান ?
Ans: এ.পি.জে. আবদুল কালাম ১৯৮১ সালে পদ্মভূষণ পান ।
- এ.পি.জে. আবদুল কালাম এর আত্মজীবনী কবে প্রকাশিত হয় ?
Ans: এ.পি.জে. আবদুল কালাম এর আত্মজীবনী ১৯৯০ সালে প্রকাশিত হয় ।
- এ.পি.জে. আবদুল কালাম কবে ভারতরত্ন পান ?
Ans: এ.পি.জে. আবদুল কালাম ১৯৯৭ সালে ভারতরত্ন পান ।
- এ.পি.জে. আবদুল কালাম কত সালে সেন্ট জসেফ কলেজে ভর্তি হন ?
Ans: এ.পি.জে. আবদুল কালাম ১৯৫০ সালে সেন্ট জসেফ কলেজে ভর্তি হন ।
- এ.পি.জে. আবদুল কালাম কবে মারা যান ?
Ans: এ.পি.জে. আবদুল কালাম ২৭ জুলাই ২০১৫ সালে মারা যান ।
[ আরও দেখুন , সত্যেন্দ্রনাথ বসুর জীবনী – Satyendra nath Bose Biography in Bengali
আরও দেখুন , রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জীবনী – Rabindranath Tagore Biography in Bengali
আরও দেখুন , ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর জীবনী – Ishwar Chandra Vidyasagar Biography in Bengali
আরও দেখুন , সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের জীবনী – Sourav Ganguly Biography in Bengali
আরও দেখুন , মেরি কম এর জীবনী – Mary Kom Biography in Bengali ]
অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমাদের এই ” এ.পি.জে. আবদুল কালাম এর জীবনী – A.P.J. Abdul Kalam Biography in Bengali ” পােস্টটি পড়ার জন্য। এ.পি.জে. আবদুল কালাম এর জীবনী – A.P.J. Abdul Kalam Biography in Bengali পড়ে কেমন লাগলো কমেন্টে জানাও। আশা করি এই এ.পি.জে. আবদুল কালাম এর জীবনী – A.P.J. Abdul Kalam Biography in Bengali পোস্টটি থেকে উপকৃত হবে। এই ভাবেই BhugolShiksha.com ওয়েবসাইটের পাশে থাকো যেকোনো প্ৰশ্ন উত্তর জানতে এই ওয়েবসাইট টি ফলাে করো এবং নিজেকে তথ্য সমৃদ্ধ করে তোলো , ধন্যবাদ।
RELATED ARTICLES MORE FROM AUTHOR
স্বামী বিবেকানন্দ এর জীবনী – swami vivekananda biography in bengali, যীশু খ্রীষ্টের জীবনী – yesu biography in bengali, নীতীশ কুমার রেড্ডি এর জীবনী – nitish kumar reddy biography in bengali, নন্দমুরি তারক রামা রাও জুনিয়র এর জীবনী – n. t. rama rao jr biography in bengali, পবন কল্যাণ এর জীবনী – pawan kalyan biography in bengali, চিরাগ পাসওয়ান এর জীবনী – chirag paswan biography in bengali, current affairs in bengali 1 september 2021 | কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স ১..., ইকার ক্যাসিয়াস এর জীবনী – iker casillas biography in bengali, লিটন দাস এর জীবনী – liton das biography in bengali, ভূমিরূপ গঠনকারী প্রক্রিয়া (চতুর্থ অধ্যায়) একাদশ শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর..., কর্ণ শর্মা এর জীবনী – karn sharma biography in bengali, hs mathematics syllabus 2024 | উচ্চমাধ্যমিক গণিত সিলেবাস ২০২৪, অধ্যায়ঃ বায়ুমণ্ডলের উপাদান ( composition of the atmosphere | জলবায়ুবিদ্যা –..., আলফ্রেড নােবেল এর জীবনী – alfred nobel biography in bengali.
EDITOR PICKS
Hs bengali suggestion 2025 | উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন ২০২৫, madhyamik bengali suggestion 2025 | মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন ২০২৫, hs history suggestion 2025 | উচ্চ মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন ২০২৫, popular posts, hs bengali suggestion 2023 | উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন ২০২৩, hs bengali suggestion 2024 | উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন ২০২৪, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জীবনী – rabindranath tagore biography in bengali, popular category.
- Biography 687
- Madhyamik 624
- Higher Secondary 402
- Current Affairs 388
- General Knowledge 369
- Class11 233
- Graduation Geography 205
- Madhyamik Geography 172
- Class 9 154
যশবন্ত সিনহা এর জীবনী – Yashwant Sinha Biography in Bengali
এ.পি.জে আবদুল কালাম – Biography APJ Abdul kalam Biography in bengali
আপনি যদি APJ Abdul Kalam Biography in Bengali তে জানতে চান তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন|APJ Abdul Kalam যার পুরো নাম আবুল পাকির জয়নুলাবদিন আব্দুল কালাম (Avul Pakir Jainulabdeen Abdul Kalam) আজ আমরা আপনার জন্য ইন্টারনেটে উপলব্ধ সর্বসেরা এপিজে আব্দুল কালাম এর জীবনী সম্পর্কে জানতে চলেছি| APJ Abdul Kalam Biography in bengali | তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক আপনি এপিজে আবদুল কালামের জীবনী সম্পর্কে কি কি জানতে পারবেন|
APJ Abdul kalam Biography in bengali
এপিজে আবদুল কালামের পরিচয় – ap.j abdul kalam identity.
APJ Abdul Kalam যার পুরো নাম আবুল পাকির জয়নুলাবদিন আব্দুল কালাম ছিলেন একজন ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞানী এবং রাষ্ট্রপতি যিনি ২০০২ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত ভারতের ১১ তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি তামিলনাড়ুর রামেশ্বরমে জন্মগ্রহণ করেন আব্দুল কালাম এর পুরো পরিচয় নিচে দেওয়া হয়েছে
আরো পড়ুন – এ.পি.জে আব্দুল কালাম বাণী
আরো পড়ুন – স্বামী বিবেকানন্দের জীবনী
এ.পি.জে. আবদুল কালামের পরিবার – A.P.J. Abdul Kalam Family
ডঃ এ পি জে আব্দুল কালাম তামিলনাড়ুর এক মুসলিম গরিব পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি তার পরিবারের সাথে তামিলনাড়ুর মন্দির শহর রামেশ্বরমে থাকতেন, যেখানে তার বাবা জয়নুলাবদিনের একটি নৌকা ছিল এবং স্থানীয় মসজিদের ইমাম ছিলেন।
একই সময়ে, তার মা, আশিয়াম্মা, একজন গৃহিণী ছিলেন। কালামের পরিবারে চার ভাই ও এক বোন ছিল, যার মধ্যে আব্দুল কালাম ছিলেন সবার ছোট। আব্দুল কালাম পূর্বপুরুষরা ছিলেন ধনী ব্যবসায়ী এবং জমির মালিক এবং তাদের বিশাল জমি ও সম্পত্তি ছিল।
আবদুল কালামের পরিবার খুবই গরীব থাকার কারণে আবদুল কালামকে ছোটবেলা থেকেই কাজে লেগে যেতে হয়েছিল| তিনি ছোটবেলা থেকে নিউজ পেপার বিক্রি করতে তার পরিবারের সংসার চালানোর জন্য|
এপিজে আবদুল কালামের ছোটবেলা AP.J Abdul Kalam Childhood
এপিজে আবদুল কালাম খুবই শান্ত প্রকৃতির ব্যক্তি ছিলেন|এপিজে আবদুল কালাম তার বাবা-মায়ের কাছে থাকতেন ছোটবেলা থেকে এবং তার পরিবার খুবই গরীব ছিল তাই পরিবারের আয় বাড়ানোর জন্য স্কুলে থাকাকালীন তাকে একটি চাকরি নিতে হয়েছিল তার পরিবারের সাহায্য করার জন্য সংবাদপত্র বিতরণ করেছিলেন।
তিনি একজন বি আব্দুল কালাম খুবই বুদ্ধিমান যুবক ছিলেন,আব্দুল ছোটবেলা থেকেই অনেক নানান নানান বই পড়তেন এবং সর্বদা নতুন জিনিস শিখতে আগ্রহী থাকতেন। তিনি রামানাথপুরম শোয়ার্টজ ম্যাট্রিকুলেশন স্কুল থেকে তার স্কুলের পড়াশোনা শেষ করে তিরুচিরাপল্লির সেন্ট জোসেফ কলেজে পদার্থবিদ্যা অধ্যয়ন করতে যান, যেখান থেকে তিনি 1954 সালে স্নাতক হন।
তারপর তিনি মাদ্রাজ ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং অধ্যয়ন করেন, 1960 সালে স্নাতক হন। তার শৈশব ছিল একটি অধ্যয়ন। একজন ফাইটার পাইলট কিন্তু সে তার স্বপ্ন পূরণ করতে পারেনি।
এপিজে আবদুল কালামের শিক্ষাজীবন AP.J Abdul Kalam Education Life
শোয়ার্টজ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, রামানাথপুরম-এ শিক্ষা শেষ করার পর, কালাম সেন্ট জোসেফ কলেজ, তিরুচিরাপল্লীতে ভর্তি হন, যা তখন মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে অধিভুক্ত ছিল, যেখান থেকে তিনি 1954 সালে পদার্থবিদ্যায় স্নাতক হন।
এ.পি.জে. আব্দুল কালাম মাদ্রাজ ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে যোগদান করেন, যেখানে তিনি 1960 সালে অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিগ্রি লাভ করেন। স্নাতক শেষ করার পর তিনি ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও)-এ ভারতীয় সামরিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানে যোগ দেন এবং পরে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো)
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন একজন শীর্ষ বিজ্ঞানী হওয়ায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতিতে তাঁর প্রত্যক্ষ অবদান অনন্য ও প্রশংসনীয়। তার পাণ্ডিত্যপূর্ণ গবেষণা প্রকাশনা, নিবন্ধ, বই ইত্যাদি বৈমানিক, ব্যালিস্টিকস এবং ধাতুবিদ্যার ক্ষেত্রে গবেষণা এবং অধ্যয়নের জন্য নতুন পথ খুলে দিয়েছে।
এপিজে আবদুল কালামের কর্মজীবন AP.J Abdul Kalam Working Life
তিনি INCOSPAR (ভারতের জাতীয় কমিটি) কমিটির অংশ হিসেবে বিখ্যাত বিজ্ঞানী বিক্রম সারাভাইয়ের সাথে কাজ করেছেন। তিনি ডিআরডিওতে একটি ছোট হোভারক্রাফ্ট ডিজাইন করে তার কর্মজীবন শুরু করেছিলেন।
তার কর্মজীবনের প্রথম দিকে, তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য একটি ছোট হেলিকপ্টার ডিজাইন করেছিলেন।
1963 থেকে 1964 সাল পর্যন্ত ড. এ.পি.জে. আবদুল কালাম মেরিল্যান্ডের গ্রিনবেল্টে ডিফেন্স গডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টার, ভার্জিনিয়ার পূর্ব উপকূলে ওয়ালপস ফ্লাইট এফিসিয়েন্সি এবং ভার্জিনিয়ার হ্যাম্পটনে নাসার ল্যাংলি রিসার্চ সেন্টার পরিদর্শন করেন।
তিনি 1965 সালে DRDO-তে একটি সম্প্রসারণযোগ্য রকেট প্রকল্পে স্বাধীনভাবে কাজ শুরু করেন। তিনি DRDO-তে তার কাজ নিয়ে খুব বেশি সন্তুষ্ট ছিলেন না এবং 1969 সালে ISRO-তে স্থানান্তরের আদেশ পেলে খুশি হন। সেখানে তিনি SLV-III-এর প্রকল্প পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
1980 সালের জুলাই মাসে, তার দল পৃথিবীর কক্ষপথের কাছে রোহিণী উপগ্রহ স্থাপনে সফল হয়েছিল। এটি ভারতের প্রথম দেশীয় নকশাকৃত এবং নির্মিত স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ যান।
আবদুল কালাম 1969 সালে সরকারের অনুমোদন লাভ করেন এবং আরও প্রকৌশলীকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য প্রোগ্রামটি প্রসারিত করেন।
1970-এর দশকে, তিনি পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেল (PSLV) তৈরি করার চেষ্টা করেছিলেন যাতে ভারত তার ইন্ডিয়ান রিমোট সেন্সিং (IRS) উপগ্রহ সূর্য-সিঙ্ক্রোনাস কক্ষপথে উৎক্ষেপণ করতে পারে, PSLV প্রকল্পটি সফল হয়েছিল এবং 20 সেপ্টেম্বর 1993 তারিখে, এটি প্রথমবারের মতো চালু করা হয়েছিল
1970 থেকে 1990 সাল পর্যন্ত SLV-3 এবং পোলার SLV-এর প্রকল্পগুলির উন্নয়নে ডক্টর কালামের প্রচেষ্টা বেশ সফল বলে প্রমাণিত হয়েছিল।
ডাঃ কালাম প্রজেক্ট ভ্যালিয়েন্ট এবং প্রজেক্ট ডেভিল পরিচালনা করেছিলেন যার লক্ষ্য ছিল এসএলভি প্রোগ্রামের প্রযুক্তি ব্যবহার করে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করা, যা সফলও হয়েছিল
DRDO দ্বারা পরিচালিত একটি ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় 1980 এর দশকের গোড়ার দিকে অন্যান্য সরকারী সংস্থার সাথে ইন্টিগ্রেটেড গাইডেড মিসাইল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (IGMDP) চালু করেছিল।
আবদুল কালামকে এই প্রকল্পের নেতৃত্ব দিতে বলা হয়েছিল এবং তাই তিনি IGMDP-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে DRDO-তে ফিরে আসেন। তার নির্দেশের কারণে অগ্নি মিসাইল, পৃথ্বীর মতো অন্যান্য ক্ষেপণাস্ত্র তৈরিতে সফল হয়েছিল।
এপিজে আবদুল কালামের অবদান AP.J Abdul Kalam Contribution
এপিজে আবদুল কালাম শুধু ভারতবর্ষের এই নয় গোটা বিশ্বে তার নাম সবাই পছন্দ করে এবং তাঁর অবদান কেউ হয়তো আমরা কখনোই ভুলতে পারবো না তিনি পুরো মানুষের কাছে এক অনুপ্রেরণা হয়ে রয়েছে| তার দেওয়া বাণী ও তার কর্ম দ্বারা সবাইকে জীবনে বাঁচার পথ দেখিয়েছে|ও সমস্ত যুবকদের চেয়ে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা দিয়েছে|এছাড়া তিনি
তিনি ভারতের প্রথম দেশীয় স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেল (SLV-3) বিকাশে প্রকল্প পরিচালক হিসাবে একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন যা জুলাই 1980 সালে রোহিণী উপগ্রহটিকে কাছাকাছি-আর্থ কক্ষপথে ইনজেকশন করেছিল এবং ভারতকে স্পেস ক্লাবের একচেটিয়া সদস্য করে তোলে।
রাষ্ট্রপতি হিসেবে এপিজে আব্দুল কালাম অবদান Contribution of APJ Abdul Kalam as President
স্যার কালাম ভারতের 11 তম রাষ্ট্রপতি হওয়ার অধিকারী ছিলেন। 25শে জুলাই 2002 থেকে 25শে জুলাই 2007 পর্যন্ত তার মেয়াদকাল 2002 সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করে অর্জিত হয়েছিল। ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স তাকে রাষ্ট্রপতি মনোনীত করেছিল এবং এটি সমাজবাদী পার্টি এবং জাতীয় কংগ্রেস পার্টি দ্বারা সমর্থিত হয়েছিল।
তিনি জনগণের কল্যাণে এবং সারাদেশে অগণিত কাজ করেছেন বলে তাকে ভালবাসার সাথে জনগণের রাষ্ট্রপতি হিসাবে ডাকা হয়। কঠিন বা সংবেদনশীল বা অত্যন্ত বিতর্কিত যাই হোক না কেন সিদ্ধান্ত নেওয়ার এবং তা বাস্তবায়ন করার জন্য তিনি যথেষ্ট সাহসী এবং সাহসী ছিলেন।
“লাভের অফিস” সম্ভবত একটি কঠিন আইন যা তাকে স্বাক্ষর করতে হয়েছিল। 1701 সালে ইংলিশ অ্যাক্ট অফ সেটেলমেন্ট অনুসারে “লাভের কার্যালয়” ব্যাখ্যা করে যে রাজপরিবারের অধীনে একজন পেশাদার সেট আপ করা কোনো একক ব্যক্তি নয়,
2005 সালে বিহারে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার জন্য তিনি সবচেয়ে আলোচিত রাষ্ট্রপতি শাসনে পরিণত হয়েছিলেন। কালাম আরও একবার পদ গ্রহণের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন কিন্তু পরে তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন।
অফিস থেকে বিদায় নেওয়ার পর, তিনি শিলং-এর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্টে ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি তামিলনাড়ুর আন্না ইউনিভার্সিটিতে অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং অধ্যাপক হিসেবে কাজ করেছেন।
তিনি তার উপস্থিতি এবং জ্ঞান দিয়ে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ইন্দোর, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ব্যাঙ্গালোরের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে আলোকিত করেছিলেন। স্যার কালাম ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ স্পেস সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, তিরুবনন্তপুরমের চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
2012 সালে, তিনি “আমি কী দিতে পারি?” নামে একটি প্রোগ্রাম চালু করেছিলেন? দেশ থেকে দুর্নীতি নির্মূলের প্রতিপাদ্যকে কেন্দ্র করে।
এপিজে আব্দুল কালামের উপাধি ও সম্মান APJ Kalam titles and honours
এপিজে আবদুল কালাম তার জীবনে প্রচুর উপাধি অর্জন করেছে তার মধ্যে আমরা কিছু উপাধি তুলে ধরে ধরলাম
এপিজে আবদুল কালামের লেখা বই
- Wings of Fire: An Autobiography
- Developments in Fluid Mechanics and Space Technology
- India 2020: A Vision for the New Millennium
- Ignited Minds: Unleashing the Power Within India
- The Luminous Sparks
- Mission India
- Inspiring Thoughts
- Indomitable Spirit
- Envisioning an Empowered Nation
- You Are Born To Blossom: Take My Journey Beyond
- Turning Points: A journey through challenges
- Target 3 Billion
- My Journey: Transforming Dreams into Actions
- A Manifesto for Change: A Sequel to India 2020
- Forge your Future: Candid, Forthright, Inspiring
- Reignited: Scientific Pathways to a Brighter Future
- Transcendence: My Spiritual Experiences with Pramukh Swamiji
- Advantage India: From Challenge to Opportunity
এপিজে আবদুল কালামের সেরা কিছু বাণী
“ স্বপ্ন সেটা নয় যেটা তুমি ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে দেখাে। স্বপ্ন হলাে সেটাই যা পূরণের অদম্য ইচ্ছা তােমায় ঘুমাতে দেবে না।” A. P. J. Abdul Kalam
“যে অন্যদের জানে সে শিক্ষিত, কিন্তু প্রকৃত জ্ঞানী হলাে সেই ব্যক্তি যে নিজেকে জানে। জ্ঞান ছাড়া শিক্ষা কোনাে কাজেই আসেনা।” A. P. J. Abdul Kalam
“জীবনে কঠিন সব বাঁধা আসে, তোমায় ধ্বংস করতে নয় বরং তোমার ভীতরের লুকোনো শক্তিকে অনুধাবন করাতে। বাঁধাসমূহকে দেখাও যে তুমিও কম কঠিন নও।“ এ.পি.জে. আবদুল কালাম
“যে মানুষগুলো তােমাকে বলে, তুমি পারাে না বা তুমি পারবেই না, তারাই সম্ভবত সেই লােক যারা ভয় পায় এটা ভেবে যে তুমি সেটা পারবে।” A. P. J. Abdul Kalam
“অসাধারণ হওয়ার জন্য কঠিন যুদ্ধে নামার চ্যালেঞ্জ নিতে হবে, যতক্ষণ না আপনি আপনার লক্ষ্যে পৌছাচ্ছেন।” A. P. J. Abdul Kalam
“তুমি যদি এখন থেকেই তােমার স্বপ্নগুলাে সত্যি করার পেছনে ছুটে না চলাে, একদিন তােমাকে কাজ করতে হবে অন্যদের অধীনে তাদের স্বপ্নগুলাে সত্যি করার জন্য।” A. P. J. Abdul Kalam
এপিজে আবদুল কালামের মৃত্যু Death of APJ Abdul Kalam
২৭ জুলাই ২০১৫ সন্ধে সাড়ে ছটায় শিলংয়ের আই আইএমের এক অনুষ্ঠানে ডেকেছিল এপিজে আবদুল কালাম কে সেখানে কিছু বক্তব্য রাখার জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল বক্তব্য রাখার সময় মঞ্চের ওপরেই পড়ে যান এবং এ.পি.জে. আবদুল কালামকে (A.P.J. Abdul Kalam) স্থানীয় বেথানি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় । সেখানেই A.P.J. Abdul Kalam আমাদের ও পুরো বিশ্বকে ছেড়ে চলে যায়
এপিজে আবদুল কালাম আমাদের সবার মনে প্রাণে জড়িয়ে রয়েছে এপিজে আবদুল কালামের কখনো মৃত্যু হতে পারে না |এপিজে আবদুল কালাম আমাদের পুরো ভারতবর্ষের নয় পুরো বিশ্বে তার এই অবদান সবাই মনে রাখবে|
আশা করি আপনি এই এপিজে আব্দুল কালাম এর বায়োগ্রাফি থেকে অনেক কিছু শিখিয়েছেন এবং তাঁর বাণী গুলি কাজে লাগিয়ে আপনি আপনার জীবনে অনেক সফলতা অর্জন করতে পারবেন |আপনারা ভালো থাকুন সুখে থাকুন
এপিজে আব্দুল কালাম এর বায়োগ্রাফি আপনাদের ভালো লেগেছে যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না|
APJ Abdul Kalam FAQ
এপিজে আব্দুল কালাম কি বিয়ে করেছিলেন.
না, এক ইন্টারভিউতে তিনি বলেছিলেন যে আমি বিয়ের কথা ভুলে গিয়েছি
এপিজে আবদুল কালামকে কেন মিসাইল ম্যান বলা হয়?
ভারতের missile projects, Prithvi and Agni missiles উন্নয়নে অবদানের জন্য ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডঃ এপিজে আব্দুল কালামকে ‘ভারতের মিসাইল ম্যান’ বলা হয়। তিনি প্রথম দেশীয় স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ যান তৈরিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
এপিজে আব্দুল কালাম এর বাবার নাম কি
জেনুলাবিদ্দীন মারাকায়ার
এপিজে আব্দুল কালাম এর মায়ের নাম কি?
আছিয়াম্মা জয়নুলাবিদ্দীন
এপিজে আব্দুল কালাম এর প্রিয় বিষয়
2 thoughts on “এ.পি.জে আবদুল কালাম – biography apj abdul kalam biography in bengali”.
- Pingback: এপিজে আবদুল কালাম পুরস্কার লিস্ট - bengalilipi
- Pingback: শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের বায়োগ্রাফি - Sri Ramakrishna Biography In Bengali
Leave a Comment Cancel reply
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.
Career Bondhu
বাংলায় সম্পূর্ণ কেরিয়ার গাইড!
এ.পি.জে আবদুল কালাম জীবনী | APJ Abdul Kalam Biography
Category – Biography
এ.পি.জে আবদুল কালাম (APJ Abdul Kalam) “ভারতের মিশাইল ম্যান (Missile Man of India)” হিসাবে পরিচিত । আমরা সকলেই তাঁর কথা শুনেছি। তিনি ভারতবর্ষের একাদশতম রাষ্ট্রপতি (President) ছিলেন।
কিন্তু এটা কি জানা আছে, যে তিনি এক সময় নিউজপেপার বা সংবাদপত্র বিতরণ করতেন এবং মাত্র 15 বছর বয়সে তাঁকে নিউজপেপার বিতরণ করে সংসার চালাতে হত।
কিভাবে একজন সামান্য নিউজপেপার বিতরণকারী থেকে একজন বিখ্যাত বিজ্ঞানী (Scientist) এবং রাষ্ট্রপতি হলেন, সেই ঘটনাই আজ বলবো তোমাদের।
এ.পি.জে আবদুল কালাম
তাঁর পুরো নাম আভুল পাকির জয়নুলাবেদিন আবদুল কালাম। তিনি ভারতের তামিলনাড়ুর একটি ছোট শহর রামেশ্বরমে, 1931 সালে 15ই অক্টোবর একটি নিম্নবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
ছোটোবেলায় এ.পি.জে আবদুল কালামকে প্রধান যে সংগ্রামের মুখোমুখি হতে হয়েছিল তা হল দারিদ্র্য। তাঁর বাবা জয়নুলাবদিন ছিলেন একজন নৌকার মালিক এবং তাঁর মা আশিয়াম্মা একজন সাধারণ গৃহিণী ছিলেন।
আবদুল কালাম ছিলেন একজন পরিশ্রমী এবং দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছাত্র। শেখার প্রতি তাঁর গভীর আবেগ এবং চারপাশের জগৎ সম্পর্কে কৌতূহল তাঁকে শিশুকাল থেকেই সবার মাঝে আলাদা করে তুলে ছিল। তাঁর এই বিরল প্রতিভার জন্য তিনি শিশু বয়স থেকেই স্কলারশিপ (Scholarship) পেতেন।
কিন্তু জীবন তাঁর এত সহজভাবে এগোয়নি। মাত্র 15 বছর বয়সে তিনি তাঁর বাবাকে হারান। তাঁর বাবার এই আকস্মিক মৃত্যু, তাঁদের পরিবারকে একটি কঠিন আর্থিক পরিস্থিতির সামনে দাঁড় করিয়ে দেয়। তাঁকে কিশোর বয়স থেকেই জীবনের কঠিন লড়াই সামলাতে হয়েছিল। পরিবার এবং নিজের পড়াশোনার তাগিদে তাই প্রতিদিন বাড়ি বাড়ি সংবাদপত্র বিতরণ করতেন এ.পি.জে আবদুল কালাম।
এই ভয়ঙ্কর কঠিন পরিস্থিতিতেও তিনি কখনোই তাঁর স্বপ্ন ছেড়ে দেননি, তাঁর অসীম ইচ্ছাশক্তির হাত ধরে তিনি চালিয়ে গেছেন তাঁর পড়াশোনা। এই ভাবেই 1954 সালে তিনি পদার্থবিদ্যায় সেন্ট জোসেফস কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।
শুরু হল তাঁর জয়যাত্রা!
এরপর তিনি 1960 সালে মাদ্রাজ ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে বিমানপ্রযুক্তি অর্থাৎ অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ডিগ্রি অর্জন করেন। কলেজের শুরুর জীবন থেকে একাধিক সংগ্রাম তাঁর চারিত্রিক দৃঢ়তা এবং কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে তিনি সহজেই কাটিয়ে উঠেছিলেন। অ্যারোনটিক্স এবং স্পেস সায়েন্সের প্রতি তাঁর এই ব্যাপক আগ্রহ পরবর্তীকালে তাঁকে ভারত তথা গোটা বিশ্বের একজন বিখ্যাত বিজ্ঞানী হিসাবে প্রতিষ্ঠা করেছিল।
এ.পি.জে আবদুল কালামের কর্মজীবন
ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনে (DRDO) বিজ্ঞানী হিসেবে এ.পি.জে আবদুল কালাম তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন। ভারতের প্রতিরক্ষা (Defense) এবং মিশাইল প্রোগ্রামে এ.পি.জে আবদুল কালামের অবদান চিরস্মরণীয়। তাঁর কর্মজীবনের অন্যতম সেরা কাজ অগ্নি (Agni) এবং পৃথ্বী (Prithvi) (ব্যালিস্টিক মিশাইল) এর উদ্ভাবন।
অসংখ্য প্রযুক্তিগত এবং আর্থিক প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হওয়া সত্ত্বেও, তিনি কঠিন পরিশ্রম এবং উদ্ভাবনী চিন্তাশক্তির মাধ্যমে ভারতের মিশাইল টেকনোলজির উন্নতি করেছিলেন।
এ.পি.জে আবদুল কালামের নিষ্ঠা এবং প্রতিভা তৎকালীন সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল। তাই 1992 সালে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রীর প্রধান বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা (Chief Scientific Advisor) হিসাবে নির্বাচিত হন।
রাষ্ট্রপতি এ.পি.জে আবদুল কালাম
2002 সালে ভারতের একাদশতম রাষ্ট্রপতি হিসাবে নিযুক্ত হন এ.পি.জে আবদুল কালাম। 2002 থেকে 2007 সাল পর্যন্ত অত্যন্ত বুদ্ধিদীপ্ততার সাথে তিনি এই দায়িত্ব পালন করেছেন। রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন, তিনি শিক্ষা প্রচারের দিকে মনোনিবেশ করেছিলেন, বিশেষত ভারতবর্ষের পিছিয়ে পড়া অঞ্চলগুলির উন্নয়নে শিক্ষার প্রসার ঘটানোর প্রচেষ্টা করেছিলেন।
তিনি বিশ্বাস করতেন যে, “একমাত্র শিক্ষাই ব্যক্তির ক্ষমতায়ন এবং সামগ্রিকভাবে জাতিকে উন্নত করার চাবিকাঠি।”
রাষ্ট্রপতির কার্যকাল শেষ হবার পর তিনি বিভিন্ন ইনস্টিটিউট এবং কলেজে অধ্যাপক হিসাবে যুক্ত ছিলেন। তিনি প্রায়শই স্কুল এবং কলেজে বক্তব্য রাখতেন, তরুণ মনকে তাদের স্বপ্ন অনুসরণ করতে এবং সমাজে অবদান রাখতে অনুপ্রাণিত করতেন।
এ.পি.জে আবদুল কালাম-এর মৃত্যু
2015 খ্রিষ্টাব্দের 27শে জুলাই, মেঘালয়ের শিলং শহরে অবস্থিত ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্টে “বসবাসযোগ্য পৃথিবী” বিষয়ে বক্তব্য রাখার সময় হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে এই মহান নক্ষত্রের পতন ঘটে। এই মহান কর্মপ্রিয় মানুষটির ইচ্ছা অনুযায়ী বিধাতাও যেন, কর্মের মধ্যেই (বক্তৃতা চলাকালীন) তাঁকে বিলীন করে দিলেন।
“Dream is not that which you see while sleeping, it is something that does not let you sleep.”
পর্ব সমাপ্ত!
বিশেষ দ্রষ্টব্য
- এই নিবন্ধে ব্যবহৃত তথ্য ইন্টারনেট, সংবাদ পত্র, পত্রিকা, প্রকাশিত রিপোর্ট ইত্যাদি থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। নিবন্ধে ব্যবহৃত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কোর্সের নাম ইত্যাদি শুধুমাত্র শিক্ষামূলক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়েছে। এই ব্যাপারে আরো জানার জন্য এই পাতাটি পড়ে নেবার অনুরোধ রইল → Disclaimer ।
- নিবন্ধটি আমরা যথাসম্ভব ত্রুটি মুক্ত রাখার চেষ্টা করেছি, তথ্যে কোনরূপ ত্রুটি চিহ্নিত হলে তা অনিচ্ছাকৃত ত্রুটি হিসাবে গণ্য হবে, চিহ্নিত ত্রুটি এই পাতা থেকে তা আমাদের জানানো যেতে পারে → Report an error ।
By Team CareerBondhu.com
Related post, এক রূপকথার বাস্তব নায়ক – নীরজ চোপড়া | অনুপ্রেরণামূলক জীবনী, 10 হাজার থেকে 1 লক্ষ কোটি | ইনফোসিসের গল্প | নারায়ণ মূর্তির অনুপ্রেরণামূলক জীবনী, মহেন্দ্র সিং ধোনির ক্রিকেটার তথা ‘ক্যাপ্টেন কুল’ হয়ে ওঠার গল্প | অনুপ্রেরণামুলক জীবনী | ms dhoni’s biography.
Apj Abdul Kalam Biography in Bengali | আব্দুল কালামের জীবনী
- Post author: abhi chavan
- Post category: Bengali Biography
- Post last modified: October 16, 2024
Apj Abdul Kalam Biography in Bengali – এপিজে আব্দুল কালাম ছিলেন একজন ভারতীয় বিজ্ঞানী ও সুরক্ষা বিশেষজ্ঞ, যিনি পরবর্তীকালে ভারতের ১১তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। মিসাইল টেকনোলজি বিশেষ অবদানের কারনে তালে মিসাইল ম্যান এর উপাধি দেওয়া হয়। কিভাবে তিনি দারিদ্রতার মধ্যে থেকে প্রথমে বিজ্ঞানী ও তার পর রাষ্ট্রপতি হয় তা সমস্ত যুব সমাজকে এক অনুপ্রেরণা জোগাতে সাহায্য করে। আজ আমরা সেই মহান ব্যক্তি ও বিজ্ঞানী এপিজে আব্দুল কালামের জীবনী (biography of abdul kalam bangla) সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে পড়বো।
Brief Biography Dr APJ Abdul Kalam in Bengali
এপিজে আব্দুল কালামের জীবনী কাহিনী.
[এপিজে আব্দুল সম্পর্কে এই লেখাটি আপনার এই সমস্ত প্রশ্নের জন্য ব্যবহার করতে পারেন – আব্দুল কালামের জীবনী , Essay on Apj Abdul Kalam in Bengali language, এপিজে আব্দুল কালামের প্রবন্ধ রচনা, Biography of Apj Abdul Kalam in Bengali, এপিজে আব্দুল কালামের আত্মজীবনী, Apj Abdul Kalam Paragraph in Bengali, এপিজে আব্দুল কালামের সংক্ষিপ্ত জীবনী]
জন্ম ও পরিবার
এপিজে আব্দুল কালাম ১৯৩১ সালের ১৫ অক্টোবর তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের অন্তর্গত যা বর্তমানে তামিলনাড়ু রাজ্যের অন্তর্গত রামেশ্বরমমে মধ্যবিত্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহন করে।
কালামের পিতার নাম ছিল জৈনুলাবুদ্দিন এবং মাতা হলেন অশিয়াম্মা। তার পিতা মাছ চাষের নৌকা ভাড়া দেওয়া কাজ করতো। তার মাতা ছিলেন একজন গৃহবধূ। এছাড়া আব্দুল কালামের দুটি ভাই ও একটি বোন ছিল তাদের মধ্যে আব্দুল কালাম ছিল সবথেকে ছোট।
এপিজে আব্দুল কালামের ছেলেবেলা – Childhood of Apj Abdul Kalam in Bengali
এপিজে আব্দুল কালামের প্রাথমিক জীবন ও শিক্ষা তামিলনাড়ুর রামেশ্বরম থেকে আরম্ভ হয়। আব্দুল কালামের পরিবার খুব একটা ধনীনা হওয়ার কারনে তার ছেলে বেলা দারিদ্রের মধ্যে যাই। এপিজে আব্দুল কালামের পিতে ছিলেন একজন নাবিক, তার পিতাকে আর্থিক ভাবে সাহায্য করতে ছোটবেলা থকেই আব্দুল কালাম স্কুল শেষে হাউয়ার পর খাবারের কাগজ বিতরণের কাজ করতো,এবং তার থকে যা আয় হতো ত দিয়ে সে তার স্কুল এর ফিস দিত।
এপিজে আব্দুল কালাম অনুশাসন, শিষ্টাচার ও উদারতা শিক্ষাটি ছোটবেলায় তার পিতার কাছ থেকে পাই। তার পিতা তাকে বলতো যে যদি কখনো জিবনে কঠিন সমায় আসে তখন আমরা যাতে নিরাশ হয়ে বসে না থাকি কারণ কঠিন সময় আমাদেরকে আমাদের আসল শক্তির সাথে পরিচয় করাতে সাহায্য করে। এপিজে আব্দুল কালাম তার পিতার সমস্ত উপদেশ গুলি খুব মন দিয়ে শুনতো।
এপিজে আব্দুল কালামের শিক্ষাজীবন
এপিজে আব্দুল কালাম ছেলেবেলায় থেকেই একজন মেধাবী ছাত্র ছিলেন। ছোটবেলা থেকে তার পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ খুব গভীর ছিল সেই কারণে তিনি খুব মনোযোগ সহকারে পড়াশোনা করতে ভালোবাসতেন।
আব্দুল কালামের তার প্রাথমিক শিক্ষা ও স্কুল জীবন তিনি রমনাথপুরম শোয়ার্জ ম্যাট্রিকুলেশন স্কুল থেকে সম্পন্ন করেন ও পরে তিনি ১৯৫৪ সালে তিরুচিরাপল্লী সেন্ট জোসেফ কলেজে বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হয় ও সেখান থেকে তিনি পদার্থবিজ্ঞানের স্নাতক পাশ করে বেরিয়ে আসেন।
তারপর তিনি তার উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য ১৯৫৫ সালে মাদ্রাজ এ চলে আসেন, এবং সেখানকার মাদ্রাজ ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি তে এ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পড়াশোনা শুরু করেন। সেইখানে তার তৃতীয় বছর চলাকালীন তাকে কয়েকজন আরও শিক্ষার্থীর সাথে একটি নিম্ন স্তরের আক্রমণ বিমানের নকশা করার একটি প্রজেক্ট দেওয়া হয় যা তারা খুব ভালোভাবে সেটিকে তৈরি করে। পরবর্তীকালে ১৯৬০ সালে আব্দুল কালাম মাদ্রাজ ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে ভালো নম্বর নিয়ে উত্তীর্ণ হয়ে তার পড়াশোনা সম্পন্ন করেন।
এপিজে আব্দুল কালামের কর্মজীবন ও তার অবদান
মাদ্রাজ ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে তিনি তার পড়াশোনা সম্পন্ন করার পরে এপিজে আব্দুল কালাম ১৯৬০ সালে সর্বপ্রথম তিনি তিরক্ষা গবেষণা এবং উন্নয়ন সংস্থা (DRDO) তে টেকনিক্যাল সিনিয়র বিজ্ঞানী হিসেবে যোগদান করেন।
সেই সংস্থায় কর্মরত থাকা কালীন তিনি তার কর্মজীবনের শুরুতে ভারতীয় সেনার জন্য হোভার এয়ারকারফ একটি নকশা তৈরি করেন। DRDO তে কর্মরত থাকা কালীন Prototype Hovercraft এর জন্য তৈরি একদল ইঞ্জিনিয়ার এর নেতৃত্ব করেন।
১৯৬২ সালে আব্দুল কালাম ভারতীয় রক্ষা সংস্থায়টি (DRDO) থেকে বদলি হয়ে ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র (ISRO) যোগদান করেন। সেখানে তিনি প্রথমে মহান মহাকাশ বিজ্ঞানী ডক্টর বিক্রম সরভাইয়ের নেতৃত্বে কাজ করেন এবং পরবর্তীকালে বড়ো পদে উন্নতি লাভ করেন।
১৯৬৯ সালে এপিজে আব্দুল কালাম ISRO দ্বারা নির্মিত ভারতের প্রথম SLV -৩ (রোহিণী) এর জন্য তাকে প্রজেক্ট হেড করা হয়।
তার নেতৃত্বে ১৯৮০ সালে ভারত প্রথম তার SLV (রোহিণী) কে পৃথিবীর নিকটতম কক্ষপথে স্থাপন করতে সক্ষম হয়।
ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র (ISRO) যোগ দেওয়ার পর থেকে এপিজে আব্দুল কালামের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মোড় ছিল, তখন তিনি অনুভব করেছিলেন যেন তিনি যেমন ভেবেছিলেন ঠিক তেমন কাজ করার সৌভাগ্য পেয়েছেন ।
১৯৮২ সালে, তিনি আবার প্রতিরক্ষা গবেষণা এবং উন্নয়ন সংস্থায় (DRDO) পরিচালক হিসেবে যোগদান করেন। এপিজে আব্দুল কালামের নেতৃত্বে ইন্টিগ্রেটেড গাইডেড মিসাইল ডেভলপমেন্ট প্রোগ্রাম সফলভাবে চালু হয়েছিল, তিনি এই প্রকল্পের প্রধান নির্বাহী ছিলেন। সেই প্রজেক্ট এর জন্য ভারত অগ্নি ও পৃথিবী মিসাইল পাই।
১৯৯২ সালে, এপিজে আব্দুল কালাম তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর উপদেষ্টা, প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থার (ডিআরডিও) সেক্রেটারি বিভাগের সচিব হন। তিনি ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত এই পদে কাজ চালিয়ে যান।
মহাকাশ বিজ্ঞানে ও ভারতীয় সুরক্ষা ব্যবস্থাই এই অবদানের জন্য তাকে ভারতের সবথেকে সন্মানীয় পুরস্কার “ভারতরত্ন” দিয়ে সম্মানিত করা হয়।
রাষ্ট্রপতি হিসেবে এপিজে আব্দুল কালাম
এপিজে আব্দুল কালাম বৈজ্ঞানিক হিসেবে অধিক নাম ও খ্যাতির কারণে, তাকে ২০০২ সালে তৎকালীন ভারতের কেন্দ্রের (NDA) সরকারের তরফ থেকে রাষ্ট্রপতি জন্য তার নাম মনোনীত করা হয়। এবং তিনি তার প্রতিদ্বন্দ্বী লক্ষ্মী শেগলকে কে বিপুল ভোটে পরাজিত করে।
২৫ জুলাই ২০০২ সালে তিনি ভারতের ১১তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। তিনি ভারতের এমন তৃতীয় রাষ্ট্রপতি ছিলেন, যিনি রাষ্ট্রপতি হওয়ার পূর্বে ভারতের সম্মানিত পুরষ্কার “ভারতরত্ন” দ্বারা ভূষিত হন। এর আগে ডাঃ রাধাকৃষ্ণান ও জাকির হুসেন রাষ্টপাতি হওয়ার পূর্বেই “ভারতরত্ন” পুরস্কারটি পেয়েছিলন।
তিনি বৈজ্ঞানিক হিসেবে তো জনপ্রিয় ছিলেন কিন্তু তিনি রাষ্ট্রপতি হিসেবে মানুষের মধ্যে জনপ্রিয় হলে ওঠে, তাকে “জনতার রাষ্ট্রপতি” হিসেবে অভিহিত করা হত।
কিভাবে তিনি একটি ছোট শহরে জন্মগ্রহন করে, প্রথমে বৈজ্ঞানিক ও পরে কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত না থাকা সত্ত্বেও কিভাবে তিনি রাষ্ট্রপতি পদ পর্যন্ত তার যাত্রা করেন, তা প্রতিটি যুবককে অনুপ্রেরণা জোগাতে সাহায্য করে।
দ্বাদশ রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাটেলের মেয়াদ শেষে পরবর্তী সম্ভাব্য রাষ্ট্রপতি হিসাবে তার নাম আবারও আলোচনায় ছিল, তবে অনেক কম সমর্থনের অভাবের কারণে তিনি তার প্রার্থিতার ধারণা ত্যাগ করেছিলেন।
রাষ্ট্রপতি পদ থেকে অবসর গ্রহণের পরে ডাঃ এপিজে আব্দুল কালাম শিক্ষকতা, লেখালেখি, বিজ্ঞান এবং গবেষণার মতো কাজে নিযুক্ত ছিলেন।
এ ছাড়া তিনি ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স ব্যাঙ্গালোরের ফেলো, ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের চ্যান্সেলর, চেন্নাইয়ের আন্না বিশ্ববিদ্যালয় তিরুবনন্তপুরম, এরোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং এর অধ্যাপক হন এপিজে আব্দুল কালাম।
এপিজে আব্দুল কালাম সর্বদা দেশের যুবকদের উন্নতির জন্য বিভিন্ন মঞ্চে মোটিভেশন বক্তব্য রাখেন। দেশের যুব সমাজের মধ্যে তার জনপ্রিয়তা বিবেচনা করে তিনি 2 বার এবং ‘এম.টি.ভি. ‘যুব আইকন অফ দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ড’ এর জন্য মনোনীত হয়েছিল। এছাড়া তাকে দেশের অনেক কলেজে ভিজিটিং প্রফেসর হিসাবে ডাকা হয়েছিল।
এপিজে আব্দুল কালাম সম্পর্কে কিছু আকর্ষনীয় তথ্য
এতক্ষন এপিজে আব্দুল কালামের জীবনী পরে আপনি নিশ্চই অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তবে আসুন এইবার আব্দুল কালাম সম্পর্কে কিছু আকর্ষনীয় তথ্যের ব্যাপারে জানি –
- এ.পি.জে আব্দুল কালামের আত্মজীবনী “উইংস অফ ফায়ার” প্রথম দিকে ইংরেজিতে প্রকাশিত হয়েছিল। তবে পরে তা ফরাসি ও চিনা ভাষা সহ আরো মোট তেরোটি ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে।
- এপিজে আব্দুল কালাম শিক্ষার্থীদের মধ্যে খুব জনপ্রিয় হওয়ার কারণে, ২০১০ সালে জাতিসংঘ তরফ থেকে এপিজে আব্দুল কালামের জন্মদিন ১৫ অক্টোবর এ ” বিশ্ব ছাত্র দিবস” ঘোষণা করেন।
- এপিজে আব্দুল কালাম বই ছাড়া তিনি কারও কাছ থেকে কোনও উপহার কখন গ্রহণ করেননি।
- ২০১১ সালে, নীলা মাধব পান্ডা কালামের জীবন ভিত্তিক একটি চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছিলেন, যার শিরোনাম ” I Am Kalam “
- এপিজে আব্দুল কালামের গণিত এবং পদার্থ বিজ্ঞান ছিল তাঁর প্রিয় বিষয়।
- তিনি দেশের অভ্যন্তরে বা বাইরে প্রদত্ত বক্তৃতা গুলির জন্য কোন ফি নেননি।
- এ. পি. জে আব্দুল কালাম একজন নিরামিষভোজী ছিলেন।
- তিনি বিজ্ঞানের সাথে সাথে সাহিত্যের প্রতি গভীর আগ্রহ ছিল। যার ফলস্বরূপ তিনি তার মাতৃভাষা তামিলে অনেকগুলি কবিতার রচনা করেন।
এপিজে আব্দুল কালামের লেখা কিছু বিখ্যাত পুস্তক
এপিজে আব্দুল কালাম তার জীবনকালে একাধিক পুস্তক রচনা করেন। একটি জীবনী সহ একাধিক নির্দেশমূলক ও অনুপ্রেরণামূলক বইয়ের লেখক তিনি। ডাঃ এ.পি.জে. আবদুল কালামের লেখা শীর্ষস্থানীয় পুস্তক গুলি হল –
- উইংস অফ ফায়ার ( এপিজে আব্দুল কালামের আত্মজীবনী )
- টার্নিং পয়েন্টস: চ্যালেঞ্জগুলো সাথে যাত্রা,”
- পরিবর্তনের জন্য চিন্তা ভাবনা: আমরা এটা করতে পারি
আলবার্ট আইনস্টাইনের বাণী ও উক্তি
- “সফলতার জন্য লড়াই না করে নিজেকে মূল্যবান মানুষ হিসাবে তৈরি করেন।”
- “ সমগ্র বিজ্ঞান দৈনন্দিনের একটি পরিশোধন চিন্তা ছাড়া আর কিছুই না।”
- অভিজ্ঞতাই হল জ্ঞাণের একমাত্র উৎস
- “সবকিছু যতটা সম্ভব সরল করা উচিত, তবে একদম সরল নয়।”
- ” যে কখনাে ভুল করেনি, সে কখনাে নতুন কিছু করার চেষ্টাই করেনি।”
[ আরো পড়ুন – এপিজে আব্দুল কালামের উক্তি ও বাণী ]
এপিজে আব্দুল কালাম এর উপাধি ও সম্মান
মহাকাশ বিজ্ঞান ও ভারতীয় সুরক্ষা বেবস্থায় তার অতুলনীয় কাজকর্মের জন্য তাকে ভারতে ও দেশ-বিদেশ থেকে একধিক পুরুস্কার ও উপাধি দিয়ে সম্মানিত করা হয়। তার কিছু গুরুত্বপূর্ণ ও উল্লেখযোগ্য সম্মান গুলি সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হল –
- ভারত সরকারের তরফ থেকে সম্মানজনক ‘ভারতরত্ন,’ এবং ‘পদ্মভূষণ’ দিয়ে ভূষিত করা হয়েছিল।
- ১৯৯৭ সালে ভারত সরকার তাকে জাতীয় সংহতকরণের জন্য ইন্দিরা গান্ধী পুরস্কার প্রদান করে।
- আব্দুল কালামকে বীর সাভারকার পুরস্কার দিয়ে সম্মানিত করা হয়।
- ২০০০ সালে, এপিজে আব্দুল কালাম আলভার্স গবেষণা কেন্দ্র কর্তৃক ‘রামানুজন পুরস্কার’ লাভ করে।
- ২০০৩ ও ২০০৪ সালে পরপর দুই বছর তিনি MTV ‘যুব আইকন অফ দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ড’ দ্বারা সন্মানিত হন।
- ২০০৭ সালে, তিনি রয়েল সোসাইটি থেকে ‘কিং চার্লস দ্বিতীয় পদক’ পেয়েছিলেন।
- ২০০৯ আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে আন্তর্জাতিক কার্মান অফ্ উইংস অ্যাওয়ার্ড দিয়ে সন্মানিত করা হয়।
- এছাড়া এ.পি.জে আব্দুল কালাম ৪০ টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট উপাধি পেয়েছেন।
You Might Also Like
ভগিনী নিবেদিতার জীবনী ও তার অবদান | Sister Nivedita Rachana in Bengali
আর্যভট্টের জীবনী এবং তার অবদান | aryabhata rachana bangla.
দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের জীবনী | Essay on Deshbandhu Chittaranjan Das
- Love Shayari
- Hindi Quotes
- Bengali Caption
- Privacy Policy
- শিক্ষার খবর
- ব্যবসার আইডিয়া
- Advertise With Us
- Contact With Us
- Privacy Policy
এ.পি.জে.আব্দুল কালামের জীবনী | A.P.J. Abdul Kalam Biography in Bengali
এ.পি.জে.আব্দুল কালামের জীবনী: এ.পি.জে.আব্দুল কালাম, ওরফে আবুল পাকির জয়নুল আবেদিন আব্দুল কালাম, ভারতের মিসাইল ম্যান, ভারত তথা যুব সমাজের আইকন যিনি একজন সাধারণ পেপার বিক্রেতা থেকে তাঁর কর্ম, নিষ্ঠা ও সরল জীবনযাপনের মাধ্যমে দেশের সর্বোচ্চ সম্মানের পদে অর্থাৎ রাষ্ট্রপতির পদে অধিষ্ঠিত হতে পারেন! ভারতের এক জ্বলন্ত উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হলেন স্যার এ.পি.জে.আব্দুল কালাম। আজ এই মহান স্যার এ.পি.জে.আব্দুল কালামের জীবনী নিয়ে আমরা আলোচনা করবো। তার আগে এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ওঁনার কর্মজীবন ও কাহিনী সংক্ষেপে।
Table of Contents
এ.পি.জে.আব্দুল কালামের পরিচিতি:
আবুল পাকির জয়নুল আবেদিন আব্দুল কালাম ওরফে এ.পি.যে.আব্দুল কালাম তথা ভারতের একাদশতম রাষ্ট্রপতি তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সির রামনাথস্বামী জেলার রামেশ্বরামে অর্থাৎ বর্তমান ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের রামেশ্বরামের এক তামিল মুসলিম পরিবারে ১৯৩১ সালের ১৫ই অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন। এই মহান আত্মার বাবা হলেন আবুল পাকির জয়নুল আবেদিন, যিনি ছিলেন এক ইমামসাহেব ও মা হলেন গৃহবধূ অশিয়াম্মা। এই পরিবারের কনিষ্ঠ সন্তান হলেন আব্দুল কালাম স্যার! খুবই গরিব এই পরিবারের পঞ্চম সন্তান ছিলেন আব্দুল কালাম। ছোট থেকেই অনেক কষ্টে ও আধপেটা খেয়ে জীবনযাপন করতে হয়েছিলো তাঁকে।
এ.পি.জে.আব্দুল কালামের ছাত্রজীবন:
অত্যন্ত গরিব পরিবারের সন্তান অথচ পড়াশোনার প্রতি ভীষণ আগ্রহ ছিল তাঁর ছোটবেলা থেকেই। ভীষণই মেধাবী ছাত্র ছিলেন আব্দুল কালাম স্যার। ছাত্রাবস্থা থেকেই তাঁর ছিলো শিক্ষাগ্রহণের তীব্রবাসনা! প্রাথমিক শিক্ষা অর্জনের পরে রামনাথপুরম ‘স্কোয়ার্টজ ম্যাটিকুলেশন স্কুল’ থেকে বাকি শিক্ষা সম্পূর্ণ করেন। উচ্চশিক্ষার জন্য এরপর তিরুচিরাপল্লীর ‘সেন্ট জোসেফস কলেজ’এ ( St. Joseph’s College) ভর্তি হন ও ১৯৫৪ সালে সেখান থেকে পদার্থ বিজ্ঞানে স্নাতক (Graduation) ডিগ্রি লাভ করেন। এরপরে ১৯৫৫ সালে তিনি মাদ্রাজে চলে আসেন ও সেখানেই ‘মাদ্রাজ ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি’ (madras institute of technology) থেকে বিমানপ্রযুক্তি বিষয়ে শিক্ষা লাভ করেন।
এ.পি.জে.আব্দুল কালামের কর্মজীবন:
শিক্ষা সম্পূর্ণ হলে, ১৯৬০ সালে ‘ভারতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা’র ‘এরোনোটিক্যাল ডেভেলপমেন্ট এস্টাব্লিশমেন্ট’এ একজন বিজ্ঞানী হিসেবে যোগদান করেন। এছাড়াও তিনি ‘ভারতীয় জাতীয় মহাকাশ গবেষণা কমিটি’তে প্রখ্যাত মহাকাশবিজ্ঞানী ড.বিক্রম সারাভাইয়ের অধীনে কাজ করতেন। ১৯৬৯ সালে তিনি এরপর ‘ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা’য় বদলি হন যেখানে তিনি ১৯৭০-১৯৯০ সালের মাঝে ভারতের কৃত্রিম উপগ্রহ পিএসএলভি এবং এসএলভি-।।।, প্রকল্পের সফল পরিচালক ছিলেন। এরপরে ২০০২-২০০৭ সাল পর্যন্ত ভারতের রাষ্ট্রপতি ছিলেন। রাষ্ট্রপতির পদ থেকে অবসরের পর তিনি ‘ইন্ডিয়ান ম্যানেজমেন্ট অফ শিলং’, ‘ইন্ডিয়ান ম্যানেজমেন্ট অফ আহমেদাবাদ’ ও ‘ইন্ডিয়ান ম্যানেজমেন্ট অফ ইন্দোর’-এর ভিজিটিং প্রফেসর হন। স্যার আব্দুল কালাম হায়দ্রাবাদের ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ইনফরমেশন টেকনোলজিতে, বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে ও আন্না বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রযুক্তি বিষয়ে শিক্ষাদান করেছিলেন।
এ.পি.জে.আব্দুল কালামের রাজনৈতিক জীবন:
অটল বিহারী বাজপেয়ীর প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন কে.আর.নারায়ণের স্থলাভিষিক্ত হয়ে ভারতের একাদশতম পদপ্রার্থী হন স্যার এ.পি.জে.আব্দুল কালাম এবং জয়লাভও করেন। ২০০২ সালের ২৫শে জুলাই থেকে ২০০৭ সালের ২৫শে জুলাই পর্যন্ত তিনি রাষ্ট্রপতির স্থানে অধিষ্ঠিত ছিলেন। রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি।
পুরস্কার ও সম্মানপ্রাপ্তি:
ভারতের মিসাইল ম্যান স্যার এ.পি.জে.আব্দুল কালাম নিজের কর্মকাণ্ডের দ্বারা পেয়েছেন বিভিন্ন সম্মান ও পুরস্কার। তিনি মোট ৪০টি দেশীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও মোট ৭টি আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট উপাধি পেয়েছেন। ১৯৮১ সালে পেয়েছেন পদ্মভূষণ, ১৯৯০ সালে পেয়েছেন পদ্মবিভূষণ এবং নিজের অসামান্য বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও প্রযুক্তির জন্য ভারতরত্ন পান ১৯৯৭ সালে! এছাড়াও তাঁর নামে বিভিন্ন রাস্তা, বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, সংস্থা ইত্যাদির নামকরণ করা হয়েছে।
এ.পি.জে.আব্দুল কালামের প্রয়াণ:
এই মহান কর্মঠ মানুষটির ২০১৫ সালের ২৭শে জুলাই মেঘালয়ের শিলং শহরে প্রতিষ্ঠিত ‘ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট’ নামক প্রতিষ্ঠানে ‘পৃথিবীকে কীকরে আরো বসবাসযোগ্য করে তোলা যায়’-এই বিষয়ে বক্তব্য দেওয়ার সময় সন্ধ্যা ৬:৩০টা নাগাদ হৃদরোগে আক্রান্ত হন ও সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষরক্ষা হয়না! এই মহান আত্মা ইহলোক ত্যাগ করে ৭:৪৫টা নাগাদ পরলোকগমন করেন।
পৃথিবীতে এমন একটিও মানুষ নেই যিনি এই মহান মানবকে পছন্দ করেন না বা ভালোবাসেন না। বাচ্চাদের খুব ভালোবাসতেন তিনি। সবাই ওনাকে ভালোবাসি। উনি যে আমাদের সকলের প্রিয় ‘মিসাইল ম্যান’!
- A.P.J. Abdul Kalam Biography
- এ.পি.জে.আব্দুল কালাম
- এ.পি.জে.আব্দুল কালামের জীবনী
গতানুগতিক পড়াশোনা না করে, কলেজের গণ্ডি না পেরিয়েই আজ বাংলার এই মেয়ে IAS! জানুন তাঁর কাহিনী।
রেলের wi-fi ব্যবহার করে একজন সাধারণ কুলি থেকে ias, জেনে নিন ias শ্রীনাথের জীবন কাহিনী।, ইঞ্জিনিয়ারিং ছেড়ে সফল ias অফিসার, কিভাবে পড়লে স্বপ্ন সফল হবে জানালেন অফিসার আরুশি শর্মা।, most popular, বিধাননগর মিউনিসিপ্যালিটি কর্পোরেশনে কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি, জানুন বিস্তারিত।, স্নাতক ডিগ্রি অর্জনকারীদের জন্য চাকরির সুযোগ, বিস্তারিত জেনে নিন।, wbcs পরীক্ষার জন্য অনলাইনে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা বেলুরের রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যামন্দিরের, জানুন বিস্তারিত।, আগামী ১৫ আগস্ট সুখবর পেতে পারেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা জানুন বিস্তারিত।, ফের সেপ্টেম্বরে ডিএ বাড়তে পারে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের, জানুন বিস্তারিত।, ছুটি হয়েও হলোনা স্বাধীনতা দিবসের, মাথায় হাত সরকারি কর্মচারীদের.
Disclaimer: "𝐄𝐱𝐚𝐦𝟑𝟔𝟓 𝐁𝐞𝐧𝐠𝐚𝐥𝐢 "𝐢𝐬 𝐧𝐨𝐭 𝐚 𝐫𝐞𝐜𝐫𝐮𝐢𝐭𝐦𝐞𝐧𝐭 𝐚𝐠𝐞𝐧𝐜𝐲 𝐚𝐧𝐝 𝐧𝐨 𝐫𝐞𝐜𝐫𝐮𝐢𝐭𝐦𝐞𝐧𝐭 𝐢𝐬 𝐝𝐨𝐧𝐞 𝐛𝐲 𝐮𝐬. So before applying for any job, please read the official site notification and Verify twice. Remember it doesn't cost money to get a government job. So don't bribe anyone. If someone demands a bribe for a govt job, You must inform the police about this.👮 Business ideas/Income Ideas are for educational purposes only. We do not guarantee their effectiveness or success. We encourage you to conduct thorough research and seek professional advice before starting any business venture.
এপিজে আব্দুল কালামের জীবনী: উদ্ভাবন, অর্জন, মৃত্যুর তারিখ, উদ্ধৃতি, পুরো নাম, শিক্ষা এবং অন্যান্য বিবরণ | APJ Abdul Kalam Biography in Bengali
এপিজে আবদুল কালামের মৃত্যুবার্ষিকী ২৭শে জুলাই পালন করা হচ্ছে। এপিজে আবদুল কালামের উদ্ভাবন, মৃত্যুর তারিখ, অর্জন, শিক্ষা, প্রাথমিক জীবন, পরিবার এবং অন্যান্য বিবরণ সম্পর্কে আরও জানুন।
এপিজে আব্দুল কালাম জীবনী: APJ Abdul Kalam Biography in Bengali
ড. এপিজে আব্দুল কালাম ছিলেন একজন ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞানী যিনি 2002 থেকে 2007 সাল পর্যন্ত ভারতের 11 তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি 15 অক্টোবর, 1931 সালে তামিলনাড়ুর রামেশ্বরমে জন্মগ্রহণ করেন এবং তিনি পদার্থবিদ্যা এবং মহাকাশ প্রকৌশল অধ্যয়ন করেন। . এপিজে আব্দুল কালাম 2002 সালে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি এবং তৎকালীন বিরোধী ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস পার্টি উভয়ের সমর্থনে ভারতের 11 তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। ‘জনগণের রাষ্ট্রপতি’ হিসাবেও উল্লেখ করা হয়, এপিজে আবদুল কালাম শুধুমাত্র একটি মেয়াদে কাজ করার পর শিক্ষা, লেখালেখি এবং জনসেবার বেসামরিক জীবনে ফিরে আসেন।
এপিজে আবদুল কালামের জীবনী পড়ুন এবং তার শিক্ষা, কৃতিত্ব, উদ্ভাবন, পুরো নাম, উদ্ধৃতি এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিবরণ সম্পর্কে আরও জানুন।
এপিজে আব্দুল কালামের জীবনী: APJ Abdul Kalam Biography in Bengali
এপিজে আব্দুল কালামের প্রাথমিক জীবন, শিক্ষা.
ডাঃ এপিজে আব্দুল কালাম 15 অক্টোবর, 1981 সালে পামবান দ্বীপের রামেশ্বরমের তীর্থস্থানে একটি তামিল মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। এটি তখন ব্রিটিশ ভারতের অধীনে মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সিতে ছিল এবং এখন তামিলনাড়ু রাজ্যে রয়েছে।
এপিজে আব্দুল কালামের বাবা জয়নুলাবদিন মারাকায়ার একজন নৌকার মালিক এবং স্থানীয় মসজিদের ইমাম ছিলেন এবং তার মা আশিয়াম্মা ছিলেন একজন গৃহিণী। তার বাবারও একটি ফেরি ছিল যা হিন্দু তীর্থযাত্রীদেরকে রামেশ্বরম এবং এখন জনবসতিহীন ধনুশকোডির মধ্যে নিয়ে যেতেন।
এপিজে আব্দুল কালাম তার পরিবারে চার ভাই ও এক বোনের মধ্যে সবার ছোট ছিলেন। তার পরিবার ছিল ধনী মারাকায়ার ব্যবসায়ী এবং জমির মালিক, প্রচুর সম্পত্তি এবং প্রচুর জমি ছিল। 1914 সালে মূল ভূখণ্ডে পামবান সেতু খোলার সাথে সাথে, ব্যবসাগুলি ব্যর্থ হয় এবং পৈতৃক বাড়ি ছাড়াও সময়ের সাথে সাথে পারিবারিক ভাগ্য এবং সম্পত্তি হারিয়ে যায়।
ছোটবেলায় কালামকে তার পরিবারের ভরণপোষণের জন্য সংবাদপত্র বিক্রি করতে হয়েছিল, যা ছিল দারিদ্র্যপীড়িত এবং অল্প আয়ে বেঁচে ছিল।
এপিজে আব্দুল কালাম এর উক্তি: এপিজে আবদুল কালামের শীর্ষ 20টি অনুপ্রেরণামূলক উক্তি
ডক্টর এপিজে আব্দুল কালাম কেন বিখ্যাত?
ডঃ এপিজে আব্দুল কালাম হলেন একজন ভারতীয় বিজ্ঞানী যিনি ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচির উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন।
ডঃ এপিজে আব্দুল কালাম কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
ডাঃ এপিজে আব্দুল কালাম 15 অক্টোবর, 1981 সালে পামবান দ্বীপের রামেশ্বরমের তীর্থস্থানে একটি তামিল মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
ডঃ এপিজে আব্দুল কালামের অন্যান্য নাম কি কি?
এপিজে আব্দুল কালামকে “জনগণের রাষ্ট্রপতি” এবং “ভারতের মিসাইল ম্যান” হিসাবেও পরিচিত।
Leave a Comment Cancel reply
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.
Product Highlight
Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit. Nunc imperdiet rhoncus arcu non aliquet. Sed tempor mauris a purus porttitor
Recent Posts
WB Panchayat : Jobs, Exams, Results, Admit Card & Latest Updates
18th January 2025 Current Affairs In Bengali | ১৮ই জানুয়ারী ২০২৫ কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স
Duare Sarkar Camp List 2025: দরজায় দরজায় সরকারি প্রকল্পের সুযোগ
Swami Vivekananda Quiz In Bengali
মানব শরীর সাধারণ জ্ঞান (Human Body GK In Bengali): একটি পরিপূর্ণ গাইড
15th January 2025 Current Affairs In Bengali | ১৫ই জানুয়ারী ২০২৫ কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স
14th January 2025 Current Affairs In Bengali | ১৪ই জানুয়ারী ২০২৫ কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স
13th January 2025 Current Affairs In Bengali | ১৩ই জানুয়ারী ২০২৫ কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স
ইংরেজি গ্রামার MCQ প্রশ্ন ও উত্তর | প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি
12th January 2025 Current Affairs In Bengali | ১২ই জানুয়ারী ২০২৫ কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স
10th January 2025 Current Affairs In Bengali | ১০ই জানুয়ারী ২০২৫ কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স
© KaliKolom | All rights reserved
About Us | Contact Us | Disclaimer | Privacy Policy | Terms & Conditions
এ পি জে আবদুল কালাম এর জীবনের গল্প । Bangla biography of APJ Abdul Kalam
এপিজে আব্দুল কালামের জীবনী | সফলতার গল্প |মিসাইল ম্যান| success story of apj adul kalam|missile man of india..
এপিজে আব্দুল কালামের পুরো নাম আবুল পাকির জয়নুল-আবেদীন আব্দুল কালাম ( A P J Abdul Kalam ) । তাঁর জীবন এর গল্প পৃথীবির বুকে এমন একটি দৃষ্টান্ত হয়ে আছে যা, যে কাউকেই অনুপ্রাণিত করবে। কিভাবে একজন সাধারণ মাঝির ছেলে ভারতের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞানী হয়েছেন, তারপর একজন সফল রাষ্ট্রপতি হলেন সে গল্প আশা জাগাবে সকলের মনে । আপনাকে মনে এ বিশ্বাস জন্মাতে সাহায্য করবে যে, সৎ মনে নিঃস্বার্থ ভাবে আপনি যদি কাজ করে যান তার ফল আপনি পাবেন। এ পি যে আব্দুল কালামের এই জীবনী টি অন্যদের মতো গতানুগতিক বায়োগ্রাফি এর মত না করে গল্প আকারেই লেখার চেষ্টা করলাম। সবাইকে স্বাগতম এপিজে আবদুল কালামের জীবনীর এই সফরে।
তামিলনাড়ুর রামেশ্বরমের সাধারণ এক পরিবারে ১৯৩১ সালের ১৫ই অক্টোবর জন্ম হয় এপিজে আব্দুল কালামের। তখন রামেশ্বরম বৃটিশ ভারতের মাদ্রাস প্রেসিডেন্সির অন্তর্গত ছিল। তাঁর বাবার নাম জয়নুল আবেদীন এবং মায়ের নাম আশিয়াম্মা। তাঁর জীবনে তাঁর বড় বোন জোহরা এবং ভগ্নিপতি আহামাদ জালালুদ্দীনেরও অনেক প্রভাব ছিল। আব্দুল কালামের খুব ছোট বয়স থেকেই আকাশে উড়ার শখ ছিল । সাগর পাড়ে বড় হওয়া কীশোর কালাম যখন আকাশে পাখি দের ঊড়তে দেখতেন তাঁর মনে তাদের মতো খোলা আকাশে ঊরে বেড়ানোর ইচ্ছা জাগতো ( সোর্সঃ “wings of fire” by APJ Abdul Kalam) । এবং মজার ব্যাপার হচ্ছে রামেশ্বরম থেকে আকাশে উড়তে পারা প্রথম মানুষটি হলে যুবক বয়েসের সেই কালাম।
এ পি জে আব্দুল কালাম তাঁর শিক্ষা জীবন শুরু করেন রামনাথপুরামের সোয়ার্জ ম্যট্রিকুলেশন বিদ্যালয়ে। সেখান থেকে সাধারন শিক্ষা সমাপ্ত করে মাদ্রাস বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে তিরুচিরাপল্লীর সেন্ট জোসেফ কলেজ থেকে পদার্থ বিদ্যায় ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি তাঁর পদার্থ বিদ্যার স্নাতক শেষ করেই অনুধাবন করতে পারেন যে, আসলে পদার্থবিদ্যা তাঁর জন্য উপযুক্ত সাব্জেক্ট ছিলনা।
এপিজে আব্দুল কালাম ছোটবেলা থেকে আকাশে উড়ার যে স্বপ্ন নিয়ে বেড়ে উঠেছেন সে স্বপ্নের পথ এই সাবজেক্টের শেষপ্রান্তে পাওয়া যাবেনা। তাই তিনি ১৯৫৫ সালে মাদ্রাস ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি ( MIT) তে ভর্তী হতে মনস্থির করেন। কিন্তু তখন এম আই টির ভর্তির ফিস দেয়ার মতো যোগ্যতা তাঁর ছিলনা। তখন তাঁর বড় বোন জোহরা তাঁর সোনার গহনা বিক্রি করে আব্দুল কালামকে ভর্তীর টাকা দেন। এম আইটি তে পড়ার সময় আব্দুল কালাম প্রায়ই অবসর সময়ে সেখানে রাখা একটি পরিত্যাক্ত বিমানের পাশে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকতেন এবং নিজের আকাশে ঊড়ার স্বপ্নকে আরো মজবুত করতেন। কালাম ছোটবেলা থেকেই খুব একটা মেধাবী ছিলেন না, কিন্তু কঠোর পরিশ্রমী ছিলেন । MIT তে একবার তাঁর একটি প্রজেক্টে অখুশি ডীন তাকে প্রজেক্টোটী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করতে না পারলে স্কলারশিপ বন্ধের ভয় দেখালে তিনি সে প্রজেক্ট তি দিনের মধ্যে শেষ করেন।
এম আই টিতে শিক্ষাজীবন শেষ করার পর জীবন তাঁর সামনে দুইটি রাস্তা খুলে দেয়। এবং দুইটি রাস্তাই তাকে তাঁর স্বপ্ন পুরন করতে সক্ষম ছিল। একটি ভারতীয় বিমান বাহিনীর চাকুরী অন্যটি ছিল ভাতীয় মিনিষ্ট্রি অফ ডিফেন্সে ডাইরেক্টর অব টেকনিক্যাল ডেভেলপমেন্ট এন্ড প্রোডাকশনের। এবং তিনি একই সাথে দুটিতে আবেদন করে বসলেন। এবং এমন সময় দুই জায়গা থেকেই তাকে ইন্টারভিয়ের জন্য ডাকা হলো। এবং ইন্টারভিয়ের স্থান দুটি ভারতের দুই প্রান্তে ছিল ২০০০ কি.মি দূরে। জীবনে প্রথমবার আব্দুল কালাম বিমানে সফর করলেন। এবং অবাক হয়ে আকশ থকে নিজের জন্মভুমীকে দেখলেন। দুইটি ইন্টারভিউ দিয়ে তিনি ফিরে আসলেন। এয়ার ফোর্সে ২৫ জন ক্যন্ডীডেট এর মধ্যে হলেন নবম। চরম হতাশ হলেন তিনি । এয়ার ফোর্সে তাঁর যাওয়া হলোনা। কিন্তু কিয়েকদিন পরেই ডিফেন্স মিনিষ্ট্রিতে তাঁর ডাক পরলো এবং সেখানে সিনিয়ার সাইন্টিস্ট এসিস্টেন্ট হিসিবে জয়েন করেন। এখান থেকেই শুরু হয় তাঁর জীবনের উত্থানের গল্প । এখান তাঁর মেধা এবং কাজের প্রতি নিষ্ঠা দেখে তাকে ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ প্রোগ্রামে পদায়ন করা হয়। সেখান থেকে রকেট সাইন্সের উপর প্রশিক্ষণ নিতে তাকে আমেরিকায় পাঠানো হয়। তাঁর হাত ধরেই ভারতের রকেট টেকনোলোজির বিশাল উন্নতি সাধিত হয় এবং তিনি “মিসাইলম্যান” , “ইন্ডিয়ান মিসাইল ম্যান” উপাধি পান। ১৯৯৮ সালে ভারতের প্রথম সফল পারমাণবিক পরীক্ষা পোখরান-২ তাঁর হাত ধরেই সফলতা পায়। তিনি ১৯৮১ সালে পদ্মভূষণ , ১৯৯০তে পদ্ম বিভূষণ এবং ১৯৯৭ সালে ভারতের সর্বোচ্চ সম্মাননা ভারতরত্ন উপাধি সহ বিভিন্ন দেশি – বিদেশী পদক সম্মানে ভূষিত হন। ১৫ আক্টোবর ১৯৯১তে তিনি ৬০ বছরে পদার্পণ করেন এবং নিজের রিটায়ার্মেন্ট এর অপেক্ষায় ছিলেন। ইচ্ছা ছিল গরীব বাচ্চাদের জন্য একটি স্কুল খুলবেন সেখানে তাদের শিক্ষাদিবেন এবং নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা যা মানুষের কাজে লাগবে তা লিখিত আকারে সংরক্ষণ করে যাবেন। করছিলেনও তাই। কিন্তু ২০০২ সালে ভারতীয় জনতা পার্টি এবং কংগ্রেসের ভারতের সবচেয়ে বড় দুই দলের মতামতের ভিত্তিতে ২০০৭ সাল পর্যন্ত ভারতের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। তিনি মানুষের মাঝে জ্ঞান ছড়িয়ে দিতে পছন্দ করতেন। ভালবাসতেন নিজের জীবনের শিক্ষা তরুণ পজন্মের মাঝে পৌঁছে দিতে । তেমনই ২০১৫ সালে ২৭শে জুলাই মেঘালয়ের শিলং শহরে অবস্থিত ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট নামক প্রতিষ্ঠানে বসবাসযোগ্য পৃথিবী বিষয়ে বক্তব্য রাখছিলেন । ভারতীয় সময় ৬টা ৩০ মিনিটে বক্তব্য রাখা অবস্থায় তাঁর হার্ট এ্যটাক হয় এবং তাকে বেথানী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ৭টা ৪৫ মিনিট নাগাদ তাঁর মৃত্যু ঘটে । ৮৪ বছর বয়সে দেশের জন্য নিজের সমগ্র জীবন উৎসর্গ করে যাওয়া এ মহাপুরুষ পরলোক গমন করেন। ২৯শে জুলাই তাঁর জন্মস্থান রামেশ্বরমেই তাকে দাফন করা হয়। তিনি তাঁর কর্মজীবনে দেশের সেবায় পার করেন এ সময়ে তাঁর পরিবার পরিজন বলতে ছিল অসংখ্য বই এর একটি আলমারি এবং দেশের মানুষের ভালবাসা। দেশ এবং দেশের মানুষই ছিল তাঁর পরিবার ,এদের ছেড়ে বিয়ে এবং সংসার করা তাঁর হয়ে উঠেনি। তাঁর মৃত্যুতে ভারতে ৭ দিনের জাতীয় শোক পালন করা হয়।
আজকের মতো এই পর্যন্তই , তথ্যে যদি কোন ভুল থাকে অবশ্যই জানাবেন সংশোধন করে দেয়া হবে। আরটিকেলটি কেমন লেগেছে জানাতে কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। এছাড়া এমন আরো আর্টিকেল পড়তে ভিসিট করুন আমাদের সাইট এবং ফেসবুক লাইক দিন আমাদের ।
- স্মার্টফোন ফটোগ্রাফির জন্য ১0টি অসাধারণ টিপস|Mobile photography tips Bangla
- মাওলানা তারিক জামিল এর জীবনী
You May Also Like
প্রতিটি মানুষের জীবনেই একটা গল্প আছে! Inspirational Story.
কি-স্টোন হেভিট কি? এবং তিনটি জীবন বদলে দেওয়া অভ্যাস। Keystone habits and 3 life changing habits.
গুগল এর প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেইজ এর জীবনী |Google owner Larry Page Biography
One thought on “ এ পি জে আবদুল কালাম এর জীবনের গল্প । bangla biography of apj abdul kalam ”.
Pingback: এ পি জে আবদুল কালাম সাহেব এর সেরা ৫টি বাণী। 5 APJ Abdul Kalam quotes. - Agamir Bangla
Comments are closed.
- প্রথম পাতা
- জীবনী
- শিক্ষা
- ধাঁধা
এপিজে আব্দুল কালাম জীবনী (মিসাইল ম্যান) | APJ Abdul Kalam Biography in Bengali
এপিজে আব্দুল কালাম জীবনী (APJ Abdul Kalam Biography in Bengali): ভারত তথা যুব সমাজের মিসাইল ম্যান এপিজে আব্দুল কালাম ( APJ Abdul Kalam )। একদিকে বিজ্ঞানী অন্যদিকে শিক্ষক। কি নেই তাঁর গুণের ঝুলিতে। একেবারে স্বয়ংসম্পূর্ণ মানুষ তিনি। আজ জেনে নেওয়া যাক, এই মানুষটির জীবন সম্পর্কে।
এপিজে আব্দুল কালামের সংক্ষিপ্ত জীবনী
Apj abdul kalam biography in bengali.
আবুল পাকির জয়নুলাবেদিন আব্দুল কালাম ভারতবর্ষের তামিলনাড়ু রাজ্যের রামেশ্বরমের এক তামিল মুসলমান পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
আব্দুল কালামের পিতা ও মাতা
পিতা আবুল পাকির জয়নুলাবেদিন, মাতা অশিযাম্মা। পিতা-মাতার পাঁচ সন্তানের মধ্যে কনিষ্ঠ সন্তান হলেন আবদুল কালাম । বড় ভাই, মোহাম্মদ মুথু মীরা লেব্বাই মারাইকায়ার, মেজ ভাই মুস্তফা কালাম, ছোটো ভাই কাসিম মোহাম্মদ। এক বোন আসিম জোহরা। পিতা ছিলেন মাছ ধরার নৌকার মালিক, এছাড়াও তিনি হিন্দু তীর্থযাত্রীদের নৌকায় পারাপার করাতেন। মা ছিলেন গৃহিনী।
কালামের শৈশব - APJ Abdul Kalam Childhood
ছোটো থেকেই ছিলেন মেধাবী, কিন্তু ওই যে সোনার চামচ মুখে দিয়ে জন্মাননি, তাই পারিবারিক অবস্থা মোটেই ভালো ছিলনা। খুব অল্প বয়সেই গ্রহণ করতে হয়, পারিবারিক ভরণপোষণ। মাত্র পাঁচ বছর বয়স থেকে শুরু করেন সংবাদপত্র দেওয়ার কাজ। প্রতিদিন স্কুল শেষে এই কাজ করতেন। আর এর থেকে যা আয় হত, তাঁর স্কুলের ফিস দেওয়ার কাজে ব্যবহৃত হত। আব্দুল ছিলেন গোঁড়া মুসলিম। কিন্তু তাঁর খেলার সঙ্গী ছিলেন সনাতনপন্থী হিন্দু পরিবারের ছেলেদের সাথে। তাঁর খেলার সঙ্গী ছিলেন রামনাথ শাস্ত্রী , অরবিন্দন আর শিব প্রকাশন। ছোটো থেকেই ছিলনা জাত-পাতের ভেদাভেদ। ছোটো থেকেই মা ঠাকুরমার মুখ থেকে শুনেছেন রামায়ণ এবং মহাভারতের কাহিনী।
আব্দুল কালামের শিক্ষাজীবন - Education Life of APJ Abdul Kalam
ছোটো থেকেই ছিলেন মেধাবী, আর তাই শিক্ষার প্রতি ছিল প্রবল অনুরাগ। রামনাথপুরোম স্কোয়ার্টজ ম্যাটিকুলেশন স্কুল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে, ১৯৫৪ সালে তিরুচিরাপল্লীর সেন্ট জোসেফস কলেজে ভর্তি হন। এরপর এই কলেজ থেকে পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতক হন। তারপর ১৯৫৫ সালে মাদ্রাজে এসে মাদ্রাজ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি থেকে বিমান প্রযুক্তি বিদ্যায় ডিগ্রি অর্জন করেন।
আব্দুল কালামের কর্মজীবন - Career of Apj Abdul Kalam
পড়াশোনা শেষে তাঁর কাছে দুটি চাকরির সুযোগ আসে। একটি বিমান বাহিনীতে এবং আরেকটি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে। তাঁর স্বপ্ন ছিল, ফাইটার পাইলট হওয়া। তিনি জানিয়েছেন, "বছরের পর বছর ধরে আমি স্বপ্ন দেখতাম আমি একটি উড়ন্ত যন্ত্রের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে স্ট্রাটোস্ফিয়ারের স্তরে চষে বেড়াচ্ছি যা উড়তে থাকবে সেই উচ্চ সীমানায়
"প্রথমে ডিটিডিপি’র ( Directorate of Technical Development and Production ) ইন্টারভিউ দেন। তারপর দেরাদুন বিমান বাহিনীর ইন্টারভিউ দেন। এখানে ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে খেয়াল করেন, শিক্ষা এবং দক্ষতার পাশাপাশি শারিরীক দিকটাও তাঁরা প্রাধান্য দিচ্ছেন। তাদের চায় স্বাস্থ্যবান ছেলে। কিন্তু কালাম তেমন ছিলেন না।
আর তাই তিনি বাদ পড়ে যান। এই ঘটনায় খুব ভেঙে পড়েন। একেবারে তীরে এসে তরী ডুবে যায়। আর তাই দুঃখে তিনি হৃষীকেশ চলে যান। সেখানে সাক্ষাৎ হয়, স্বামী শিবানন্দের। স্বামী শিবানন্দ তাঁকে জানায়, “আজকের ব্যর্থতা ভুলে যাও, তার বদলে তোমার জীবনের প্রকৃত উদ্দেশ্যের অনুসন্ধান করো।
এয়ার ফোর্স পাইলট হওয়া তোমার নিয়তি নয়। নিজের সঙ্গে একাত্ম হও, আত্মসমর্পণ কর ঈশ্বরের ইচ্ছার কাছে। “এই কথা শুনে তিনি ফিরে আসেন দিল্লিতে। এরপর এসে জানতে পারেন তাঁর আর একটা পরীক্ষার ফলাফল। অর্থাৎ ডিটিডিপি’র ফলাফল। সেই ফলাফলে তিনি সাকসেস হন।
১৯৬০ সালে ভারতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থার এরোনোটিক্যাল ডেভলপমেন্ট এস্টাব্লিশমেন্টে বিজ্ঞানী হিসেবে যোগদান করেন। ছোট্ট একটি হেলিকপ্টার বানানো দিয়ে শুরু হয় তাঁর কর্মজীবন। এরপর হোভারক্রাফট তৈরীর পরিকল্পনা নেওয়া হয়। হোভারক্রাফট এমন একটি জিনিস, যা মাটি , জল, বরফ সবের উপর দিয়ে যেতে পারে।
আর এই জিনিসটি তৈরীর নকশার দায়িত্ব এবং তৈরীর দায়িত্ব ভার এসে পড়ল কালামের উপর। এই জিনিসটি তৈরীর অভিজ্ঞতা ছিলনা, কালামের। এমনকি প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতিও ছিলনা। তবুও তিনি থেমে যাওয়ার মানুষ নন । দুই বছর ছয় মাসের মাথায় তৈরি করে ফেললেন একটি হোভারক্রাফট। নাম দিলেন নন্দী।
আর এই কাজের জন্য তাঁর নাম সকলের মুখে মুখে। এর পাশাপাশি বিজ্ঞানী ড. বিক্রম সারাভাইয়ের অধীনে কাজ করতেন। প্রতিরক্ষা গবেষণা থেকে ১৯৬৯ সালে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ISRO) তে বদলি হন। আর এরপরই ১৯৮০ সালে ভারত প্রথম স্যাটেলাইট 'রোহিণী' মহাকাশে উৎক্ষেপণ করেন।
এরপর ১৯৬৫ সালে বর্ধমান রকেট প্রকল্পের কাজ শুরু করেন। ১৯৭০ থেকে ১৯৯০ সালের মধ্যে ভারতের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ পিএসএলভি এবং এসএলভি-lll প্রকল্প পরিচালনা করেন। ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও মহাকাশযানবাহী রকেট এর উন্নয়নের জন্য তাঁকে ‘ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র মানব’ বা ‘ মিসাইল ম্যান অফ ইন্ডিয়া ’ বলা হয়।
এরপর ১৯৭৪ সালে স্মাইলিং বুদ্ধ নামে প্রথম পরমাণু বোমা পরীক্ষা করেন। এরপর ১৯৯৮ সালে পোখরান-২ পরমাণু বোমা পরীক্ষা করেন। এরপর ২০০২ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত অর্থাৎ পাঁচ বছর ভারতের রাষ্ট্রপতি ছিলেন। রাষ্ট্রপতির পদ অবসর গ্রহণের পর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট শিলং, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট আহমেদাবাদ,
ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট ইন্ডোরের ভিজিটিং প্রফেসর পদে নিযুক্ত হন। এছাড়াও হায়দ্রাবাদের ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ইনফরমেশন টেকনোলজি, বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় এবং আন্না বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাদান করেন।
রাজনৈতিক জীবন - Political Career of Kalam
২০০২ সালে ভারতীয় জনতা পার্টি রাষ্ট্রপতি পদের জন্য কালামের নাম ঘোষণা করেন। এরপর ভারতের ১১তম রাষ্ট্রপতি পদে নিযুক্ত হন। ২০০২ সালের ২৫ শে জুলাই থেকে ২০০৭ সালের ২৫ শে জুলাই পর্যন্ত অর্থাৎ পাঁচ বছর ভারতের রাষ্ট্রপতি ছিলেন ।
এপিজে আব্দুল কালাম এর প্রাপ্ত পুরষ্কার - APJ Abdul Kalam Prizes List
তাঁর অসামান্য খ্যাতির জন্য, ৪০টি দেশীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং ৭টি আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পেয়েছেন ডক্টরেট উপাধি। পেয়েছেন পদ্মভূষণ (১৯৮১), পদ্মবিভূষণ (১৯৯০) , ভারতরত্ন (১৯৯৭) । নীচে রইল পুরস্কারের তালিকা
- পদ্মভূষণ (১৯৮১)
- পদ্মবিভূষণ (১৯৯০)
- ইনস্টিটিউট অব ডিরেক্টর্স (ইন্ডিয়া) -র ডিশটিংগুইশড ফেলো (১৯৯৪)
- ভারতরত্ন (১৯৯৭)
- ইন্দিরা গান্ধী পুরস্কার (১৯৯৭)
- বীর সাভারকর পুরস্কার (১৯৯৮)
- রামানুজন পুরস্কার (২০০০)
- ইংল্যান্ডের উলভারহ্যাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্মানিক ডক্টরেট (২০০৭)
- কিং চার্লস টু মেডেল (২০০৭)
- আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্মানিক ডক্টরেট (২০০৮)
- সিঙ্গাপুরের নান্যাঙ্গ টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্মানিক ডক্টরেট (২০০৮)
- ক্যালিফোর্নিয়া ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজির ইন্টারন্যাশনাল ভোন কর্মণ উইংস অ্যাওয়ার্ড (২০০৯)
- হুভার মেডেল (২০০৯)
- আমেরিকার ওকল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্মানিক ডক্টরেট (২০০৯)
- কানাডার ওয়াটারলু বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্মানিক ডক্টরেট (২০১০)
- ইনস্টিটিউট অব ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার্সের সাম্মানিক সদস্যপদ (২০১১)
- কানাডার সাইমন ফ্রেজার বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্মানিক ডক্টরেট (২০১২)
- ইংল্যান্ডের এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্মানিক ডক্টরেট (২০১৪ ) ।
তাঁর নামে হয়েছে রাস্তা, বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, সংস্থা, দ্বীপের নাম।
সাহিত্যকর্ম
- India 2020: A Vision for the New Millennium (1998)
- Wings of Fire: An Autobiography (1999)
- Ignited Minds: Unleashing the Power within India (2002)
- The Luminous Sparks: A Biography in Verse and Colors (2004)
- Guiding Souls: Dialogues ln the Purpose of Life (2005)
- Inspiring Thoughts: Quotation Series (2007)
- You are Born to Blossom: Take my journey Beyond (2011)
আব্দুল কালামের মৃত্যু - Death of APJ Abdul Kalam
২০১৫ সালের ২৭শে জুলাই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মেঘালয়ের শিলং শহরে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্টে বক্তব্য রাখার সময় সন্ধ্যা ৬.৩০ নাগাদ হৃদরোগে আক্রান্ত হন । এরপর ৭.৪৫ নাগাদ পরলোক গমন করেন।
উল্লেখযোগ্য তথ্য - Unknown Facts About APJ Abdul Kalam
- তাঁর স্মৃতির উদ্দেশ্যে, তাঁর জন্মদিন উপলক্ষ্যে ১৫ অক্টোবর ' বিশ্ব ছাত্র দিবস ' পালিত হয়।
- তাঁর পছন্দের বিষয় ছিল পদার্থবিজ্ঞান এবং গণিত।
- তাঁর জীবন কাহিনীর উপর ভিত্তি করে ২০১১ সালে, ' আই অ্যাম কালাম ' নামক একটি চলচ্চিত্র তৈরি হয়।
- ২০১২ তে দুর্নীতির বিরুদ্ধে হোয়াট ক্যান আই গিভ মুভমেন্ট নামক একটি পোগ্রাম চালু করেন।
- তিনি প্রথম চালু করেন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কম্পিউটার থাকতে হবে।
- ডক্টর এপিজে আবদুল কালাম লিখেছেন তাঁর জীবনীমূলক বই উইংস অফ ফায়ার । যা ১৩টি ভাষায় অনুবাদ হয়।
- তিনি সময় সম্পর্কে ছিলেন খুব সচেতন, প্রতিদিন সকাল ৬:৩০ তে ঘুম থেকে উঠতেন এবং ঘুমোতেন ২টার সময়।
- মাদ্রাজ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে ভর্তির জন্য দরকার ছিল অর্থের, তখন তিনি বোনের বালা বিক্রি করে এই টাকা জোগাড় করেন।
- ভারতের কোনো রাষ্ট্রপতি মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত ২১ আসামির মধ্যে ২০ জনকে ক্ষমা করে দেওয়ার ক্ষমতা অর্জন করে থাকে, কিন্তু কালাম কোনো আসামীকে ক্ষমা করে দেননি।
- রাষ্ট্রপতি পদে থাকাকালীন তার আয় এবং সম্পত্তি ট্রাস্টের নামে করে দিয়েছিলেন। কারণ তিনি জানিয়েছেন তিনি যখন রাষ্ট্রপতি, তাই তাঁর সম্পত্তির প্রতি সরকার যত্নবান হবেন । তাই এই টাকার দরকার নেই।
- কালাম খেতে ভালোবাসতেন দক্ষিণ ভারতীয় খাবার ইডলি।
- রাষ্ট্রপতিদের কিছু সুবিধা দেওয়া হয়। অনেকেই অনেক কিছু চায়, কেউ ফ্রিতে বিমানের সুবিধা, এছাড়াও আরও অনেক কিছু। কিন্তু তিনি চেয়েছিলেন, দ্বিতীয় শ্রেণীর ট্রেনের টিকিট চেয়েছিলেন।
- একবার ছাত্রদের বক্তৃতা দেওয়ার সময়, বিদ্যুৎ চলে যায়, কিন্তু তিনি থেমে থাকেননি, তিনি খালি গলায় বক্তৃতা দিয়েছেন।
- আট বছর বয়স থেকেই ভোর ৪টেয় ঘুম থেকে উঠে স্নান করে পড়তে যেতেন। কারণ তিনি যে শিক্ষকের কাছে পড়তে যেতেন সেই শিক্ষক স্নান ছাড়া কোনো ছাত্রকে পড়াননা।
বিখ্যাত বাণী - APJ Abdul Kalam Quotes in Bengali
- স্বপ্ন বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত তোমাকে স্বপ্ন দেখে যেতে হবে।
- তুমি ঘুমের মধ্যে যা দেখো তা স্বপ্ন নয়, স্বপ্ন হলো সেটাই যা তোমাকে ঘুমোতে দেয় না।
- End শব্দটির অর্থ 'শেষ' নয়, বরং End-এর অর্থ হল 'Effort Never Dies' অর্থাৎ ‘প্রচেষ্টার মৃত্যু নেই', যদি কোনও কিছুর উত্তরে 'NO' শোনো, তাহলে জানবে এর অর্থ হল 'Next Opportunity' অর্থাৎ 'পরবর্তী সুযোগ'।
- যদি তুমি সূর্যের মত উজ্জ্বল হতে চাও, তাহলে তোমাকেও সূর্যের মতোই জ্বলে উঠতে হবে।
- জীবনে প্রথম সাফল্য পাওয়ার পর বসে থেকো না। কারণ দ্বিতীয়বার যখন তুমি ব্যর্থ হবে তখন অনেকেই বলবে প্রথমটিতে তুমি শুধুই ভাগ্যের জোরে সফল হয়েছিলে।
এপিজে আব্দুল কালাম জীবনী (প্রশ্নোত্তর) - APJ Abdul Kalam Biography in Bengali (FAQ)
আবুল পাকির জয়নুল আবেদিন আব্দুল কালাম।
১৫ অক্টোবর ১৯৩১ সালে।
জয়নুল আবেদিন ও অশিয়াম্মা।
২০০২ সালে।
উইংস অফ ফায়ার।
২৭ জুলাই ২০১৫।
Popular Posts
কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য জীবনী - Sukanta Bhattacharya Biography in Bengali
কবি জীবনানন্দ দাশ জীবনী - Jibanananda Das Biography in Bengali
ড. বি আর আম্বেদকর জীবনী, কেন বিখ্যাত Dr BR Ambedkar Biography
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর জীবনী Ishwar Chandra Vidyasagar Biography In Bengali
CEO এর পূর্ণরূপ কি? CEO Full Form in Bengali
- মাধ্যমিক
- উচ্চমাধ্যমিক
- নবম শ্রেণি
- চাকরির প্রস্তুতি
- চাকরির খবর
- অনলাইন মকটেস্টে
- জীবনী
আবদুল কালামের জীবনী - জন্ম তারিখ, অর্জন, কর্মজীবন, পরিবার, পুরস্কার | Dr apj abdul kalam biography
ডাঃ এ.পি.জে. আব্দুল কালামের জীবনী এবং তার সাথে সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য | biography-dr-apj-abdul-kalam.
ডাঃ এ.পি.জে. আব্দুল কালামের সংক্ষিপ্ত সাধারণ জ্ঞান
- নাম ডাঃ এ.পি.জে. আব্দুল কালাম
- আসল নাম/উপনাম আবুল পাকির জয়নুল্লাদ্দিন আব্দুল কালাম/ মিসাইল ম্যান
- জন্ম তারিখ 15 অক্টোবর
- জন্মস্থান রামেশ্বরম, তামিলনাড়ু, (ভারত)
- মৃত্যুর তারিখ 27শে জুলাই
- মা এবং বাবার নাম আছিয়াম্মা/জয়নুলাবদিন
- অর্জন 2002 - ভারতের 11 তম রাষ্ট্রপতি
- পেশা/দেশ পুরুষ/রাজনীতিবিদ/ভারত
- ডাঃ এ.পি.জে. আব্দুল কালাম - ভারতের 11 তম রাষ্ট্রপতি (2002)
ডাঃ এ.পি.জে. আবদুল কালাম ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি, প্রখ্যাত বিজ্ঞানী এবং প্রকৌশলী হিসাবে বিখ্যাত ছিলেন। তিনি 'মিসাইল ম্যান' এবং 'পিপলস প্রেসিডেন্ট' নামেও পরিচিত। তিনি ছিলেন ভারতের 11 তম নির্বাচিত এবং প্রথম অরাজনৈতিক রাষ্ট্রপতি। তিনি 25 জুলাই 2002 থেকে 25 জুলাই 2007 পর্যন্ত দেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। 2015 সালের 27 জুলাই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন এই মহান ব্যক্তি।
ডাঃ এ.পি.জে. আবদুল কালামের জন্ম
ডাঃ এ.পি.জে. আবদুল কালাম তামিলনাড়ুর রামেশ্বরমের ধানুশকোডিতে 15 অক্টোবর 1931 সালে একটি মধ্যবিত্ত মুসলিম আনসার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পুরো নাম ছিল আবুল পাকির জয়নুলাবদীন আব্দুল কালাম। তাঁর পিতার নাম জয়নুল আবদীন এবং মাতার নাম আশিয়াম্মা। তার বাবা একজন নৌকার মালিক ছিলেন এবং তিনি জেলেদের কাছে এই নৌকা ভাড়া দিতেন। আর তার মা ছিলেন একজন গৃহিণী। ডাঃ এ.পি.জে. আবদুল কালামের পাঁচ ভাই ও পাঁচ বোন ছিল।
ডাঃ এ.পি.জে. আবদুল কালাম মারা গেছেন
ডাঃ এ.পি.জে. আবদুল কালাম 27 জুলাই 2015 (বয়স 83) শিলং, ভারতের শিলং-এ যখন তিনি ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্টে একটি বাসযোগ্য প্ল্যানেট আর্থ তৈরি করছিলেন, তখন তিনি হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হন এবং মারা যান .
ডাঃ এ.পি.জে. আবদুল কালামের শিক্ষা
আবদুল কালাম তার বাবার জীবনে অনেক প্রভাব ফেলেছিলেন। যদিও তার বাবা শিক্ষিত ছিলেন না, তার নিবেদন এবং তার দ্বারা প্রদত্ত মূল্যবোধ আব্দুল কালামের জন্য খুব দরকারী ছিল। পাঁচ বছর বয়সে তাঁর দীক্ষা অনুষ্ঠান হয় রামেশ্বরমের পঞ্চায়েতের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ার সময় তার শিক্ষক তাকে পাখির ওড়ার পথ সম্পর্কে তথ্য দিচ্ছিলেন, কিন্তু শিক্ষার্থীরা বুঝতে না পেরে শিক্ষক তাকে সমুদ্র সৈকতে নিয়ে গেলেন যেখানে তিনি উড়ন্ত পাখি দেখালেন এবং ভালোভাবে বুঝিয়ে বললেন, এই পাখিগুলো দেখে কালাম। সিদ্ধান্ত নেন তিনি সিদ্ধান্ত নেন যে তিনি ভবিষ্যতে বৈমানিক বিজ্ঞান নিয়ে যেতে চান। কালামের গণিতের শিক্ষক সকালে টিউশনি নিতেন, তাই তিনি গণিতের টিউশনে যেতেন ভোর ৪টায়। আবদুল কালাম তার প্রাথমিক শিক্ষা অব্যাহত রাখতে সংবাদপত্র বিতরণের কাজও করেছিলেন। কালাম 1950 সালে মাদ্রাজ ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে মহাকাশ বিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। স্নাতক শেষ করার পর তিনি হোভারক্রাফ্ট প্রকল্পে কাজ করার জন্য ভারতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন ইনস্টিটিউটে যোগ দেন। 1962 সালে, তিনি ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থায় যোগদান করেন যেখানে তিনি সফলভাবে বেশ কয়েকটি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ প্রকল্পে ভূমিকা পালন করেন। প্রকল্প পরিচালক হিসাবে, তিনি ভারতের প্রথম দেশীয় উপগ্রহ উৎক্ষেপণ যান SLV-3 নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন, যা 1982 সালের জুলাই মাসে রোহিণী উপগ্রহ সফলভাবে মহাকাশে উৎক্ষেপণ করেছিল।
ডাঃ এ.পি.জে. আবদুল কালামের কর্মজীবন
1960 সালে মাদ্রাজ ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে স্নাতক হওয়ার পর, কালাম একজন বিজ্ঞানী হিসাবে প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থার (প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো, ভারত সরকারের) অ্যারোনটিক্যাল ডেভেলপমেন্ট এস্টাবলিশমেন্টে যোগ দেন, ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সার্ভিস (DRDS) এর সদস্য হন। যোগদান করেছেন। , তিনি একটি ছোট হোভারক্রাফ্ট ডিজাইন করে তার কর্মজীবন শুরু করেছিলেন, কিন্তু ডিআরডিওতে চাকরিটি তার পছন্দ মতো হয়নি। কালাম বিখ্যাত মহাকাশ বিজ্ঞানী বিক্রম সারাভাইয়ের অধীনে কাজ করা INCOSPAR কমিটিরও অংশ ছিলেন। 1969 সালে, কালামকে ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন (ISRO) তে স্থানান্তর করা হয়, যেখানে তিনি ভারতের প্রথম স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেল (SLV-III) এর প্রজেক্ট ডিরেক্টর ছিলেন, যেটি সফলভাবে রোহিণী স্যাটেলাইটকে 1980 সালের জুলাই মাসে পৃথিবীর কাছাকাছি কক্ষপথে স্থাপন করেছিল। ; কালাম প্রথম 1965 সালে DRDO-তে স্বাধীনভাবে একটি সম্প্রসারণযোগ্য রকেট প্রকল্পে কাজ শুরু করেন। 1969 সালে, কালাম সরকারী অনুমোদন লাভ করেন এবং আরও প্রকৌশলীকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য প্রোগ্রামটি প্রসারিত করেন।
1963 থেকে 1964 সালে, তিনি ভার্জিনিয়ার হ্যাম্পটনে নাসার ল্যাম্পলি গবেষণা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন; মেরিল্যান্ডের গ্রিনবেল্টে গডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টার; এবং ওয়ালপস ফ্লাইট সুবিধা। 1970 এবং 1990-এর দশকের মধ্যে, কালাম পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেল (PSLV) এবং SLV-III প্রকল্পগুলি তৈরি করার চেষ্টা করেছিলেন, উভয়ই সফল প্রমাণিত হয়েছিল। 1998 সালে, কার্ডিওলজিস্ট সোমা রাজুর সাথে, কালাম একটি কম দামের করোনারি স্টেন্ট তৈরি করেছিলেন, যার নাম "কালাম-রাজু স্টেন্ট"। 2012 সালে, দু'জন গ্রামীণ এলাকায় স্বাস্থ্যসেবার জন্য একটি রুক্ষ ট্যাবলেট কম্পিউটার ডিজাইন করেন, যার নাম "কালাম-রাজু ট্যাবলেট"।
কালাম কে. আর. ভারতের ১১তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে নারায়ণন। তিনি 2002 সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে 922,884 ইলেক্টোরাল ভোটে জয়ী হন, লক্ষ্মী সেহগালের 107,366 ভোটকে ছাড়িয়ে যান। তার মেয়াদ ছিল 25 জুলাই 2002 থেকে 25 জুলাই 2007 পর্যন্ত। 18 জুন, কালাম বাজপেয়ী এবং তার সিনিয়র মন্ত্রিসভার সহকর্মীদের সাথে ভারতীয় সংসদে তার মনোনয়নপত্র দাখিল করেন, কালাম ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট শিলং, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট আহমেদাবাদ এবং ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্টের ভিজিটিং প্রফেসর হন। ইন্দোর; ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স, ব্যাঙ্গালোরের অনারারি ফেলো; ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ স্পেস সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি তিরুবনন্তপুরমের চ্যান্সেলর; আন্না বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং এর অধ্যাপক; এবং ভারত জুড়ে অন্যান্য অনেক শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে একজন সুবিধাদাতা। তিনি হায়দরাবাদের ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ইনফরমেশন টেকনোলজিতে তথ্য প্রযুক্তি এবং বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় এবং আন্না বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রযুক্তি বিষয়ে অধ্যাপনা করেন।
2012 সালের মে মাসে, কালাম ভারতের যুবকদের জন্য দুর্নীতিকে পরাজিত করার কেন্দ্রীয় থিম নিয়ে হোয়াট ক্যান আই গিভ মুভমেন্ট নামে একটি প্রোগ্রাম চালু করেছিলেন। 2011 সালে, কালাম কুদানকুলাম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিষয়ে তার অবস্থানের জন্য নাগরিক দলগুলির দ্বারা সমালোচিত হন; তিনি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে সমর্থন দিয়েছিলেন এবং স্থানীয় জনগণের সাথে কথা না বলার জন্য অভিযুক্ত হন। প্রতিবাদকারীরা তার সফরের প্রতি বিদ্বেষী ছিল কারণ তারা তাকে একজন পরমাণু সমর্থক বিজ্ঞানী হিসেবে দেখেছিল এবং প্ল্যান্টের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে তিনি যে আশ্বাস দিয়েছিলেন তাতে তারা মুগ্ধ হননি।
ডাঃ এ.পি.জে. আবদুল কালামের পুরস্কার ও সম্মাননা
ডাঃ এ. পি.জে. তামিলনাড়ুর রামেশ্বরমের দ্বীপ শহর পেই কারুম্বুতে ডিআরডিও কালামের স্মরণে আবদুল কালাম জাতীয় স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করেছিল। জুলাই 2017 সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এটি উদ্বোধন করেছিলেন। কালাম যে রকেট এবং ক্ষেপণাস্ত্রের সাথে কাজ করেছিলেন তার প্রতিলিপি প্রদর্শনে রয়েছে। গণনেতার জীবনকে তুলে ধরা শতাধিক চিত্রকর্মের সাথে তার জীবনের এক্রাইলিক চিত্রকর্মও প্রদর্শিত হয়েছে। প্রবেশপথে কালামের একটি মূর্তি রয়েছে, যেখানে তাকে বীণা বাজানো চিত্রিত করা হয়েছে। আবদুল কালাম ৪০টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৭টি সম্মানসূচক ডক্টরেট পেয়েছেন। ভারত সরকার তাকে 1981 সালে পদ্মভূষণ এবং 1990 সালে ISRO এবং DRDO এর সাথে কাজ করার জন্য এবং সরকারের বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা হিসাবে তার ভূমিকার জন্য পদ্মবিভূষণে সম্মানিত করে। 1997 সালে, ভারতে বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির আধুনিকীকরণে অবদানের জন্য কালাম ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান, ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার পান। 2013 সালে, তিনি "ন্যাশনাল স্পেস সোসাইটি" থেকে "মহাকাশ-সম্পর্কিত প্রকল্প ব্যবস্থাপনা এবং নেতৃত্বে শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি প্রদানের জন্য ভন ব্রাউন পুরস্কারের প্রাপক ছিলেন।" 2012 সালে, কালাম আউটলুক ইন্ডিয়ার গ্রেটেস্ট ইন্ডিয়ানস সমীক্ষায় 2 নম্বরে ছিলেন। তার মৃত্যুর পর কালাম অনেক শ্রদ্ধা পেয়েছিলেন। তামিলনাড়ু রাজ্য সরকার ঘোষণা করেছে যে তার জন্মদিন, 15 অক্টোবর সারা রাজ্যে "যুব রেনেসাঁ দিবস" হিসাবে পালিত হবে। রাজ্য সরকার ""ড. ক. পি.জে. আব্দুল কালাম পুরস্কার" প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে একটি 8-গ্রাম স্বর্ণপদক, একটি শংসাপত্র এবং ₹500,000 (US$7,000)। বৈজ্ঞানিক উন্নয়ন, মানবিকতা বা ছাত্র কল্যাণে কৃতিত্বের সাথে রাজ্যের বাসিন্দাদের 2015 সালে শুরু হওয়া স্বাধীনতা দিবসে বার্ষিক পুরস্কার প্রদান করা হবে।
পুরষ্কার এবং সম্মানের তালিকা
বছর পুরস্কার এবং সম্মান পুরস্কার প্রদানকারী দেশ ও প্রতিষ্ঠান
- 2014 ডক্টর অফ সায়েন্স ইউনিভার্সিটি অফ এডিনবার্গ, যুক্তরাজ্য
- 2012 আইনের ডাক্তার (সম্মানসূচক ডিগ্রি) সাইমন ফ্রেজার বিশ্ববিদ্যালয়
- 2011 IEEE অনারারি সদস্যপদ আই.ই.ই.ই.
- 2010 ইঞ্জিনিয়ারিং এর ডাক্তার ওয়াটারলু বিশ্ববিদ্যালয়
- 2009 সম্মানসূচক ডক্টরেট অকল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়
- 2009 হুভার পদক ASME ফাউন্ডেশন,
- 2009 ভন কারমান উইংস ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি,
- 2008 ডক্টর অফ ইঞ্জিনিয়ারিং (সম্মান ডিগ্রী) নানিয়াং টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটি, সিঙ্গাপুর
- 2008 ডক্টর অফ সায়েন্স (সম্মান ডিগ্রী) আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়, আলীগড়
- 2007 ডক্টর অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির সম্মানসূচক ডিগ্রি কার্নেগি মেলন বিশ্ববিদ্যালয়
- 2007 রাজা দ্বিতীয় চার্লস পদক রয়্যাল সোসাইটি, যুক্তরাজ্য
- 2007 ডক্টর অফ সায়েন্সের সম্মানসূচক ডিগ্রি উলভারহ্যাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়, যুক্তরাজ্য
- 2000 রামানুজন পুরস্কার আলভারস রিসার্চ ইনস্টিটিউট, চেন্নাই
- 1998 বীর সাভারকর পুরস্কার ভারত সরকার
- 1997 ইন্দিরা গান্ধী জাতীয় ঐক্য পুরস্কার ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস
- 1997 ভারতরত্ন ভারত সরকার
- 1994 বিশিষ্ট গবেষক ইনস্টিটিউট অফ ডিরেক্টরস (ভারত)
- 1990 পদ্মবিভূষণ ভারত সরকার
- 1981 পদ্মভূষণ ভারত সরকার
ডাঃ এ.পি.জে. আব্দুল কালাম প্রশ্ন ও উত্তর (প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী):
প্রশ্ন : ডাঃ এ.পি.জে. আব্দুল কালামের জন্ম কবে?
উত্তর: ডাঃ এ.পি.জে. আবদুল কালাম 15 অক্টোবর 1931 তারিখে তামিলনাড়ু, (ভারত) রামেশ্বরমে জন্মগ্রহণ করেন।
প্রশ্ন : ডাঃ এ.পি.জে. আবদুল কালাম কেন বিখ্যাত?
উত্তর: ডাঃ এ.পি.জে. আবদুল কালাম 2002 সালে ভারতের 11 তম রাষ্ট্রপতি হিসাবে পরিচিত।
প্রশ্ন : ডাঃ এ.পি.জে. আব্দুল কালামের পুরো নাম কি ছিল?
উত্তর: ডাঃ এ.পি.জে. আবদুল কালামের পুরো নাম ছিল আবুল পাকির জয়নুল্লাহ্ আবদুল কালাম।
প্রশ্ন : ডাঃ এ.পি.জে. আব্দুল কালাম কখন মৃত্যুবরণ করেন?
উত্তর: ডাঃ এ.পি.জে. আবদুল কালাম 2015 সালের 27 জুলাই মারা যান।
প্রশ্ন : ডাঃ এ.পি.জে. আব্দুল কালামের পিতার নাম কি ছিল?
উত্তর: ডাঃ এ.পি.জে. আবদুল কালামের পিতার নাম জয়নুল আবদীন।
প্রশ্ন : ডাঃ এ.পি.জে. আব্দুল কালামের মায়ের নাম কি ছিল?
উত্তর: ডাঃ এ.পি.জে. আব্দুল কালামের মায়ের নাম ছিল আশায়াম্মা।
প্রশ্ন : ডাঃ এ.পি.জে. আব্দুল কালাম কি ডাকনামে পরিচিত?
উত্তর: ডাঃ এ.পি.জে. আবদুল কালাম মিসাইল ম্যান নামে পরিচিত।
IMAGES
COMMENTS
আভুল পাকির জয়নুলাবেদিন আবদুল কালাম (বাংলা: [abdul kalam]; তামিল: அவுல் பக்கிர் ஜைனுலாபுதீன் அப்துல் கலாம்; ১৫ অক্টোবর ১৯৩১ - ২৭ জুলাই ২০১৫) একজন ভারতীয় পরমাণু বিজ্ঞানী ছিলেন যিনি ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের একাদশ রাষ্ট্রপতি (২০০২ - ২০০৭) হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তার জন্ম বর্তমান ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের রামেশ্বরমে । তিনি পদার্থবিদ্যা বিষয়ে সেন্ট...
Nov 14, 2021 · এ.পি.জে. আবদুল কালাম (A.P.J. Abdul Kalam) ছিলেন ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের একাদশ রাষ্ট্রপতি (২০০২ – ২০০৭)। কালাম তার কর্মজীবন শুরু করেছিলেন একজন বিজ্ঞানী হিসেবে। পরে এ.পি.জে. আবদুল কালাম (A.P.J. Abdul Kalam) ঘটনাচক্রে গণপ্রজাতন্ত্রী ধর্মনিরপেক্ষ ভারতের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। কালামের জন্ম বর্তমান ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের রামেশ্বরমে। এ.পি.জে. আবদুল ...
APJ Abdul Kalam যার পুরো নাম আবুল পাকির জয়নুলাবদিন আব্দুল কালাম ছিলেন একজন ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞানী এবং রাষ্ট্রপতি যিনি ২০০২ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত ভারতের ১১ তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি তামিলনাড়ুর রামেশ্বরমে জন্মগ্রহণ করেন আব্দুল কালাম এর পুরো পরিচয় নিচে দেওয়া হয়েছে. আরো পড়ুন – এ.পি.জে আব্দুল কালাম বাণী.
Jun 5, 2023 · এ.পি.জে আবদুল কালাম (APJ Abdul Kalam) “ভারতের মিশাইল ম্যান (Missile Man of India)” হিসাবে পরিচিত । আমরা সকলেই তাঁর কথা শুনেছি। তিনি ভারতবর্ষের একাদশতম রাষ্ট্রপতি (President) ছিলেন।. কিন্তু এটা কি জানা আছে, যে তিনি এক সময় নিউজপেপার বা সংবাদপত্র বিতরণ করতেন এবং মাত্র 15 বছর বয়সে তাঁকে নিউজপেপার বিতরণ করে সংসার চালাতে হত।. এ.পি.জে আবদুল কালাম.
Oct 16, 2024 · Apj Abdul Kalam Biography in Bengali – এপিজে আব্দুল কালাম ছিলেন একজন ভারতীয় বিজ্ঞানী ও সুরক্ষা বিশেষজ্ঞ, যিনি পরবর্তীকালে ভারতের ১১তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। মিসাইল টেকনোলজি বিশেষ অবদানের কারনে তালে মিসাইল ম্যান এর উপাধি দেওয়া হয়। কিভাবে তিনি দারিদ্রতার মধ্যে থেকে প্রথমে বিজ্ঞানী ও তার পর রাষ্ট্রপতি হয় তা সমস্ত যুব সমাজকে এক অনুপ্র...
Feb 1, 2023 · ভারতের এক জ্বলন্ত উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হলেন স্যার এ.পি.জে.আব্দুল কালাম। আজ এই মহান স্যার এ.পি.জে.আব্দুল কালামের জীবনী নিয়ে আমরা আলোচনা করবো। তার আগে এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ওঁনার কর্মজীবন ও কাহিনী সংক্ষেপে।.
Jul 27, 2023 · এপিজে আব্দুল কালাম ছিলেন একজন ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞানী যিনি 2002 থেকে 2007 সাল পর্যন্ত ভারতের 11 তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি 15 অক্টোবর, 1931 সালে তামিলনাড়ুর রামেশ্বরমে জন্মগ্রহণ করেন এবং তিনি পদার্থবিদ্যা এবং মহাকাশ প্রকৌশল অধ্যয়ন করেন। .
এপিজে আব্দুল কালামের পুরো নাম আবুল পাকির জয়নুল-আবেদীন আব্দুল কালাম ( A P J Abdul Kalam ) । তাঁর জীবন এর গল্প পৃথীবির বুকে এমন একটি দৃষ্টান্ত ...
Mar 20, 2023 · এপিজে আব্দুল কালাম জীবনী (APJ Abdul Kalam Biography in Bengali): ভারত তথা যুব সমাজের মিসাইল ম্যান এপিজে আব্দুল কালাম (APJ Abdul Kalam)। একদিকে বিজ্ঞানী অন্যদিকে শিক্ষক। কি নেই তাঁর গুণের ঝুলিতে। একেবারে স্বয়ংসম্পূর্ণ মানুষ তিনি। আজ জেনে নেওয়া যাক, এই মানুষটির জীবন সম্পর্কে।.
ডাঃ এ.পি.জে. আবদুল কালাম ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি, প্রখ্যাত বিজ্ঞানী এবং প্রকৌশলী হিসাবে বিখ্যাত ছিলেন। তিনি 'মিসাইল ম্যান' এবং 'পিপলস প্রেসিডেন্ট' নামেও পরিচিত। তিনি ছিলেন ভারতের 11 তম নির্বাচিত এবং প্রথম অরাজনৈতিক রাষ্ট্রপতি। তিনি 25 জুলাই 2002 থেকে 25 জুলাই 2007 পর্যন্ত দেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। 2015 সালের 27 জুলাই হৃদরোগে...